1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

ঐতিহাসিক ভোটাভুটিতে জিতে অভিশংসন বিচার থেকে অব্যাহতি ট্রাম্পের

  • প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ২৭৮ বার সংবাদটি পাঠিত

ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে তার পদচ্যুতির বিষয়ে মাত্র ৫২-৪৮ ভোটে জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কাজে বাধাপ্রদানের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর সম্ভাবনা খারিজ হয়েছে ৫৩-৪৭ ভোটে

মার্কিন সিনেটে অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তাকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে না।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঐতিহাসিক এক ভোটাভুটির মাধ্যমে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে।

তবে এই সিদ্ধান্তে আসাটা খুব সহজ ছিল না। কারণ খুব কম ভোটের ব্যবধানে অভিশংসন থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ট্রাম্প।

কোনো কারণে ট্রাম্প ভোটে হেরে গেলে তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তার পদচ্যুতির বিষয়ে মাত্র ৫২-৪৮ ভোটে জিতেছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের পদ হারানোর সম্ভাবনা খারিজ হয়েছে ৫৩-৪৭ ভোটে।

এর আগে ডিসেম্বরে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি হবেন প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি অভিশংসিত হয়েছেন।

এদিকে অভিশংসনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ট্রাম্প পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এখন মার্কিন জনগণের নিজ কাজে মন দেওয়ার সময় হয়েছে।”

“অকর্মণ্য ডেমোক্রেটরা জানে তারা ট্রাম্পকে হারাতে পারবে না, সেজন্য তারা তাকে অভিশংসন করেছিল।”

ভোটা-ভুটিতে হেরে যাওয়ার পর হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, “ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য সব সময় একটি হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং রিপাবলিকান সিনেটররা আইন না থাকার ব্যাপারটিকে সাধারণ ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছেন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি অভিশংসিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে ১৯৯৮ সালে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার আগে ১৮৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অবশ্য ক্লিনটন কিংবা জনসন তাদের কাউকেই সিনেটে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION