বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা সীমান্তে মিথ্যা অভিযোগে মাদকদ্রব্য আইনে আলী হোসেন(৪৫) নামে এক ব্যাক্তিকে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে বাগঁআচড়া ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আলী হোসেনের পরিবার। আলী হোসেনের মা জয়নব বেগম বাগঁআচড়া ফাঁড়ির এএসআই মাসুদ করিম বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার(৬ এ আগস্ট)রাতে শার্শা সীমান্তের আমলাই গ্রামের ব্রিজের উপর এ ঘটনা ঘটে।জাকির হোসেন কে আটক করা হয়।পালাতক আলী হোসেন আমলাই গ্রামের মৃতঃআবুল হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।
জয়নব বেগম বলেন,আমি রাতে ঘুমায় ছিলাম ২থেকে৩জন পুলিশ পরিচয়ে ডাকতে থাকে। বাহিরে এসে জিজ্ঞাস করি কি হয়েছে কার খুজছেন? আলী হোসেন আমার ছেলে।তখন বলে তার নামে হিরোইন মামলা ওয়ারেন্ট আছে সে কই।আমার ছেলে এ সব কাজ করে না। ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে দেখাতে পারে নাই।সে বাড়িতে নাই তখন সব ঘরের মধ্যে ওঠে খুজাখুজি করে না পেয়ে চলে যায়।পরদিন সকালে শুনি আমার ছেলের নামে মিথ্য মামলা দেয়া হয়েছে।আমি আমার ছেলের এই মিথ্য মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠ তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে আলী হোসেনর মা সহ কয়েকজন এবং স্থানীয় মুক্তের বিশ্বাস জানায়, মিথ্যা ভাবে ফাঁসিয়েছে পুলিশ।আসল মাদক ব্যবসায়িকে মালের সাথে ধরতে পেরেও তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তা খুব ভাবগম্ভীর।সে ভালো ছেলে আমাদের পাড়ায় এর মতো ছেলে হয় না।আমাদের পাড়ায় কোন মানুষ মাদকের সাথে জড়িত নয়।আমরা তার মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও সঠিক বিচার চাই।
স্থানীয় গোগা ইউপি পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বুলু মেম্বরের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন কার মাল কি ভাবে পুলিশ আটক করেছে যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না সেহেতু কিছু বলতে পারব না।তবে আমার জানা মতে ছেলেটি ভালো সে বালি ও মাছের ব্যবসা করে।সে এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত না।
এ বিষয়ে শার্শা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ(ওসি) বদরুল আলম জানান,কোন নির্দোষ ব্যাক্তি কে হয়রানি করা হবে না।সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষী কে আইনের আওতাই আনা হবে।সুষ্ট তদন্তের মাধ্যেমে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেক্ষ্য গত ৬/৮/২০ রাতে বাগআঁচড়া গোগা সড়কের আমলাই ব্রীজের উপর থেকে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে২৬ বোতল(১৩ লিটার) বাংলা মদ আটক করে।এ সময় জাকির হোসেন কে আটক করা হয়।এবং আলী হোসেন কে পালাতক আসামি করা হয়।যার মামলা নং-২২০ তাং৬/৮/২০।