বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাংস্কৃতিক ফোরাম ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমীকলীগ এর যৌথ আয়োজনে ১৫ আগষ্ট জাতিয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৩ আগস্ট) বিকাল ৫ টার সময় বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম বেনাপোল শাখার সভাপতি রহমত আলী। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাষ্টার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য মোজাফফার হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমীকলীগের এস এম ইব্রাহীম ও বিপ্লব হোসেন।
প্রধান অতিথি আহসান উল্লাহ মাষ্টার বলেন জাতির জনক এর জন্ম না হলে হয়ত বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডটি আমরা পেতাম না। তাই এই ভুখন্ডের সন্মান মর্যদা ধরে রাখার দায় দায়িত্ব ও আমাদের। ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালি জাতি বীরের জাতি থেকে বেঈমান এর জাতিতে ভুষিত হয়েছে। তিনি শার্শার ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি হয়ত দেখেছেন শার্শার রাজনীতির নেতৃত্ব ভুল পথে হাটছে। তাই সময় মত এই মাটি মানুষের মঙ্গল এর জন্য মেয়র লিটনের সাথে এক হয়ে প্রকৃত জিম্মি হওয়া আওয়ামীলীগ নেতাদের সন্মান মর্যদা ফিরিয়ে আনবেন। কোন অপরাজনীতিকে আপনি প্রশ্রয় দিবেন না।
শার্শাউপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালি জাতির জনককে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালের কালো রাত্রে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আমরা সেই পরাধিন শক্তিকে এখন দেখছি শার্শার মাটিতে বিচরণ করছে। তিনি শার্শার হাইব্রিড আওয়ামীলীগদের হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন এখন থেকে সাবধান। আর কোন নেতাদের অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করবেন না। তাহলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। আপনারা পরিবহন শ্রমীকলীগ নেতাদের সাথে ও ধারাবাহিক ভাবে নাটকীয় রাজনীতি করে আসছেন। তারা আজ আপানার থেকে সরে এসে মেয়র লিটনের ছাতার নীচে এক হয়ে আছে। ভাল ভাবে শার্শার মাটিতে রাজনীতি করেন। আগামি ১৫ আগষ্ট জাতির জনকের শাহাদত বার্ষিকী পালন করা হবে । এখন থেকে আর কোন বাধা বিঘ্ন আসলে রাজপথে দেখা হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আজ শার্শার রাজনীতিতে অস্ত্র, বোমা মাদক এর ছড়াছড়ি। আমরা এই রাজনীতি চাই না। আমরা ছাত্রদের চাই ভাল লেখা পড়া। চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি। তাদের হাতে যারা এসব বোমা অস্ত্র মাদক তুলে দিচ্ছেন তারা সতর্ক হয়ে যান। আপনাদেও সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। আজ শার্শা থেকে সাংস্কৃতি বিলুপ্তি করে আপনারা যারা আমাদের ছেলেদের নষ্ট করছেন তারা এখন থেকে সর্তক হন। আজ পত্রিকা খুললে দেখা যায় ছাত্ররা মাদক এর সাথে অস্ত্রের সাথে বোমার সাথে জড়িত। আমরা এর থেকে পরিত্রান পেতে চাই। তিনি আরো বলেন শার্শার সকল নেতা কর্মী তাদের ভুল বুঝতে পেরে ওই দানবের থেকে আশরাফুল আলম লিটন এর সাথে রাজনীতি করতে একই কাতারে দাঁড়িয়েছে। আশরাফুল আলম লিটন একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি মানুষকে ভাল বাসতে পারে । বিপদে আপদে তিনি এই জনপদের মানুষের সাথে আছেন। করোনা কালীন মহাদুর্যোগের এই বিগত ৭ টি মাস তিনি মানুষের পাশে আছেন। অথচ এই জনপদের একজন শীর্ষ নেতা এই মহাদুর্যোগের সময় মানুষের পাশ থেকে হারিয়ে গেছে। তিনি শার্শার সকল তৃনমুল পর্যন্ত নেতাদের এক হয়ে আগামি ১৫ আগষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেনাপোলে জাতির জনকের ৪৫ তম শাহাদত বার্ষিকীতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রহমত আলী বলেন বেনাপোল বাজারে আজ শার্শার একজন শীর্ষ নেতা ডিম সিন্ডিকেট করেছে। আমরা ভোক্তারা বেশী দামে ডিম ক্রয় করছি। মানুষ এত নীচে নামতে পারে তা বলতে ও আমাদের লজ্জা হয়। বেনাপোল এখন অন্যান্য কোম্পানির ডিমের গাড়ি প্রবেশ করতে দেয় না ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শার্শা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন।