সোহাগ হোসেনঃ যশোরের বৃহৎ তম স্থলবন্দরবেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট কাস্টমস এর স্কানিংয়ে কোন কর্মকর্তা না থাকায় ভারত থেকে আসা পাসাপোর্টযাত্রীরা অবৈধ পন্য নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী যাত্রী ছাড়াও সেদেশের কিছু লোক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ করার জন্য আসা যাওয়া করে থাকে।
সুত্র মতে ভারত থেকে যাত্রীরা ফেরার পর ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস এর স্কানিং মেশিনে তাদের পন্য দিয়ে যাচাই বাছাই শেষে দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে। এই স্কানিং মেশিনে দীর্ঘদিন কোন কাস্টমস এর কর্মকর্তা কর্মচারী না থাকায় নির্বিঘ্নে আগত যাত্রীরা অবৈধ পন্য নিয়ে আসছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া মদ, গাজা ফেন্সিডিল এর মত মাদক আসছে বলে ও সুত্রটি দাবি করে।
সরেজমিনে স্কানিং মেশিনে যেয়ে দেখা যায় কাস্টমস এর এআরও চেয়ারে বহিরাগত তিনজন পাবলিক বসে আছে।এরা হলো মান্নান, বিপ্লব ও সিরাজ । এই তিনজন কাস্টমস এর কর্মকর্তাদের চেয়ারে বসা এরা কারা? জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় অনেকেই।এর মমধ্যে মান্নান নিজেকে কাস্টমসের অফিসার পরিচয় দিচ্ছেন বলে একাধিক সুত্রে জানিয়েছেন। ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা স্কানিং মেশিনে ল্যাগেজ দেওয়ার পর ভয় ভীত দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভারত থেকে আসা জনৈক একজন পাসপোর্ট যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা মনে করেছি ওই চেয়ারে বসা যারা রয়েছে তারা কাস্টমস এর কর্তা ব্যক্তি। স্কানিং মেশিনে ব্যাগ দেওয়ার পর তারা আমাদের সাথে থাকা লাগেজে কিছু ভারতীয় পণ্য দেখে আটকিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এরপর উৎকোচের মাধ্যমে আমরা কাস্টমস থেকে বেরিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান এর সেল ফোনে বিকাল ৪.৪২ টার সময় কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই।