কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকার প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসার এক শিক্ষককে পিটিয়ে বা পা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে উঠেছে। গুরুতর আহত ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে কেশবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছে।উপজেলার বুড়িহাটি গ্রামের মৃত রহিম বক্স দপ্তরীর ছেলে বুড়িহাটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আলী আজগার দপ্তরী(৫৩) সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই উপজেলার শিকারপুর পাত্রপাড়া গ্রামর আমজাদ হোসেন মৎস্য ঘেরের ব্যবসা করে আসছে।গত কয়েদিন ধরে ভারি বৃষ্টি হওয়ার ফলে বুড়িহাটি উত্তর বিলে পানি জমে যায়।ঐ পানি নিষ্কাশনের পথ কালভার্টের মুখে বাধ দিয়ে বন্ধ থাকার কারণে পাশের ৪ টি গ্রাম প্লাবিত দেখা দিয়েছে।যার কারণে উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের খেজুরকান্দি বিল, বুড়িহাটি বিল,সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বারুইহাটি বিল,ঝিকরা বিল,মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর পাত্রপাড়া বিলসহ কয়েকটি গ্রামের বিলে আমন আবাদ ব্যহত হচ্ছে। এ ঘটনায় গত রবিবার ৯ আগষ্ট স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান সহ ভুক্তভোগী শতাধিক কৃষকরা কেশবপুর উপজেলা নির্বহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে আমি বিলে যাওয়ার মাত্রই হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলমাত আলীর নেতৃত্বে বুড়িহাটি গ্রামের মৃত আফছার আলী মল্লিকের ছেলে মাহাবুর রহমান মল্লিক,মৃত রহিম দফাদারের ছেলে আজিজুর রহমান দফাদার,ও তার ছেলে আবু তাহের দফাদার, মোস্তফা মল্লিকের ছেলে আবু শাহিন মল্লিক,আতিয়ার রহমান সরদারের ছেলে কামরুল ইসলাম সরদার মিলে আমাকে কিল ঘুশি মারতে মারতে আমার বা পা টি ভেঙ্গে দিয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের প্রস্ততি চলছে বলে আহত শিক্ষক জানান।হাসপাতালের জরুরী বিভাগ কর্মরত ডাক্তার শিক্ষকের বা পা টি ভেঙ্গে গেছে বলে তিনি জানান। মাহাবুর রহমান মল্লিক বলেন,আমরা শিক্ষককে মারপিট করিনি।এ ব্যাপারে হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলমাত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে আমি গিয়ে ছিলাম,কিন্ত আমার নেতৃত্বে শিক্ষককে মারপিট করা হয়নি। মাহাবুর রহমান মল্লিক শিক্ষককে ২/৩ টি কিল ঘুশি মেরেছে। শিক্ষকের লোকজন আমার উপর চড়া হয়ে উঠে।