আবু সাঈদ আল জিহাদঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৬ তম আবির্ভাব তিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা শহরের চরজোতপ্রতাপ দুর্গামাতা ঠাকুরানী মন্দিরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শংকর কুমার কুন্ডু। সভার প্রধান আলোচক ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ উত্তরবঙ্গ বৈষ্ণব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল শ্যামকিশোর দাস গোস্বামী। মন্দিরভিক্তিক শিশু ও সহশিক্ষা কার্যক্রমের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক শ্রী মিলন কুমার দাসের সভাপতিত্বে সভার বিশেষ অতিথি ছিলেন, সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক ডাবলু কুমার ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রী স্বপন কুমার ঘোষ, জেলা শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক শ্রী ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি, চরজোতপ্রতাপ দুর্গামাতা ঠাকুরানী মন্দিরের সভাপতি শ্রী বাসুদেব নন্দী, সাধারণ সম্পাদক শ্রী অজিত দাসসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।
আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী লক্ষত্র যোগে কৃষ্ণ মধুরায় কংসের কারাগারে মাতা দেবকীর অষ্টম সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর এই জন্মদিনকে জন্মাষ্টমী বলা হয়। সনাতন ধর্মের প্রবর্তক ও প্রাণপুরুষ মহাবতার পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত। করোনার কারণে এ বছর জন্মাষ্টমী সারাদেশে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে। থাকছে না জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা, মিছিল ও সমাবেশ। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির প্রাঙ্গণে কৃষ্ণপূজাসহ অন্য সব আচারবিধি পালন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে অন্য অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে গীতাযজ্ঞ, কীর্তন, আরতি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা প্রভৃতি।