সরেজমিনে পরিদর্শনে উপজেলা ইউএনও
মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ কোথায় করোনা কোথায় সামাজিক দূরত্ব দেখলে মনে হচ্ছে ২ বছর আগের দিন, করোনা বা কোন এক অদৃশ্য ভাইরাসের ভয়ে যখন কুপকাত কিন্তু মণিরামপুর সাবরেষ্ট্রি অফিস কে দেখলে মনে হচ্ছে করোনা কোন মহামারি আপাতত নাই,সরে জমিনে সাবরেষ্ট্রি অফিসে গেলে দেখা যায় সামজিক দূরত্ব কে তোয়াক্কা না করে এক জনের গায়ে লেগে আরেকজন দাড়িয়ে আছে,নেই কারোর মুখে মাস্ক। বিশেষ করে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের স্পর্শকাতর যাইগা হলো সাব রেষ্ট্রি অফিস কারণ সব থেকে বয়জোষ্ঠ ও প্রবিণ মানুষের আনাে গানা দেখা যায় এই অফিসে।কিন্তু অফিস টিতেই মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব বা কোন নিয়ম।
মণিরামপুর উপজেলা সাব রেষ্টার শাহাজান আলী সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন অফিস করেন রবিবার,সোমবার,মঙ্গলবার আর ঠিক এ কারণেই সমস্যা বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অনেকে। তিন দিন অফিস করার কারনে ভিড় বা কাজের চাপ টা একটু বেশিই থাকে। অপর দিকে খোজ নিয়ে জানা গেয়ে বর্তমানে ঘুষ, প্রতারক ও দালালের এক মহা আসর বা আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে সাব রেষ্ট্রি অফিস। সাব রেষ্ট্রি অফিসে যারা আসেন তাদের বেশির ভাগই বয়োজোষ্ঠ এবং তেমন একটা লেখা পড়া না জানা মানুষ। যেহেতু জমি জামার কাজ বা দলিল সম্পর্কিত বুঝতে তাদের অসুবিধা হয় সেহেতু তারা তখন আশ্রয় নেয় দালালের। নাম প্রকাশে একজন ভুক্তভোগী জানান, আমি বাবা গ্রামের মুখ্য শুখ্য মানুষ জমি জামা সম্পর্কে খুব কম বুজি বর্তমানে আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালো না থাকায় ১ কাঠা জমি বেচে দিছি পাশের গ্রামের একজনের কাছে সে বলেন রেষ্ট্রি অফিসে আসতে আমি তো বুঝি না একজন দালাল এসে বলো সে নিজে সব কিছু করে দিবে তার জন্য তাকে এক হাজার টাকা দিতে হবে,আমি রাজি হযে যায়। আজকে দলিল এজলাসে এঠেছে সাব রেষ্ট্রার সই করে দলিলে সামান্য কিছূ নাকি ভুল আছে এজন্য জেলা সাব রেষ্টার শাহাজান আল কে চুক্তি অনুযায়ী টাকা ঘুষ দিতে হবে না হলে তিনি সই করবেন না।
উলেখ্য এভাবেই প্রতিনিয়ম বড় বড় দূর্নিতির মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাব রেষ্টার শাহাজান আলী সহ তার অফিসের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারি।শুশিল সমাজের মানুষের দাবি মণিারমপুর উপজেলা সাব রেষ্টার শাহাজান আলী তার অফিসের দেয়ালে লিখে রেখেছেন ( আমার অফিস ও আমি দূর্নিতি মুক্ত) আসলেই কি তারা দূর্নিতি মুক্ত.?। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান ,করোনা চাষকারী মণিারমপুর উপজেলা সাব রেষ্ট্রি অফিস পরিদর্শনে যেয়ে হ-য-ব-র-ল দেকে তাদের কে করোনা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার দির্দেশ সহ কারণ দর্শনের নোটিশ দেন। দূর্নিতি সম্পর্কে মণিারমপুর উপজেলা সাব রেষ্টার শাহাজান আলীর সাথে যোগাযোগ কারার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি।তবে মণিারমপুর উপজেলা সাব রেষ্ট্রি অফিসের পিয়ন মিলন জানায়,একদিনে দেড়শত জমি রেষ্ট্রি হলে মনিরামপুরে জনগনের উপকার হয়। আমরা তো প্রতিটা পত্রিকার সাংবাদিক কে তুষ্ট করে থাকি আপনারা কেন আমাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখবেন।—চলবে