যশোর প্রতিনিধিঃ শুক্রবার ১৭ জুলাই সকালে শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া মালোপাড়া লিচুতলাস্থ এ ওয়ান স্কুলের দক্ষিনে যুবক আলাউদ্দিন (২০) খুনের ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ৭ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জ উল্লেখ করে মামলা দায়ে করা হয়েছে। নিহত যুবকের বাবা শুকুর আলী বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর কুমার পাড়ার রবিউলের ছেলে শুভ,বারান্দীপাড়া টাওয়ার মোড়ের রাজ্জাকের ছেলে শাহারাজ, বারান্দী মোল্যাপাড়ার শামীমের ছেলে শরিফ,একই এলাকার বদরুদ্দিনের ছেলে রিপন, শহিদের ছেলে রাজ বাবু ,বাপ্পীসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার করতে পারেনি।
যশোর শহরের আরবপুর কলুপাড়ার মৃত ফজলুল করিমের ছেলে শুকুর আলী বাদি হয়ে উল্লেখিত আসামীদের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত এজাহারে বলেছেন,তিনি আরবপুর মোড়ে ছোট খাটো খাবার হোটেলের ব্যবসা করে। তার সেজ ছেলে আলাউদ্দিন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। শুক্রবার ১৭ জুলাই সকাল ৭ টায় আলাউদ্দিনের মোবাইলে একটি ফোন আসলে সে বাড়ি হতে বারান্দীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সকাল ১০ টায় সে পূর্ব বারান্দীপাড়া মালোপাড়া লিচুতলা এ ওয়ান স্কুলের দক্ষিণে জনৈক মদন কুমার এর বাড়ির পূর্ব পাশে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত আসামী তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৩/৪জ দুই মোটর সাইকেল যোগে আলাউদ্দিনকে ছুরিকাঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মোটর সাইকেল যোগে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আলাউদ্দিনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আলাউদ্দিন হত্যাকান্ড ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের জড়িত এজাহার নামীয় আসামী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।