মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে যশোরের মণিরামপুরে ইসলাম হোসেন “আল্লাহর দান” নামের একটি ষাড় বিক্রয়ের জন্য দাম হাকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা।ষাড়টিকে একনজর দেখার জন্য উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুঁটে আসছে মানুষ। ষাড়টির ওজন আনুমানিক ১০৫০/১১০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ১ টন।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ছয় লাখ টাকা দাম হাকালেও এটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা করছেন খামারি।খামারি এবং স্থানীয়রা দাবি করেন, তাদের গ্রাম ও আশপাশে এতো বড় গরু এর আগে কখনও দেখেননি।
খামারি ইসলাম হোসেন উপজেলার ভরতপুর গ্রামের আমজাদ দফাদারের পুত্র। তিনি স্থানীয় গোপালপুর বাজারে টেইলার্স ব্যবসায়ী।ব্যবসার পাশাপাশি সে নিজ বাড়ীতে ছোট খাঁটো একটি গরুর খামার করেছেন।তিনি এবং তার স্ত্রী রেশমা বেগম(শিক্ষিকা)দুজনে এই খামারটি পরিচালনা করেন।এই খামারে বর্তমানে “আল্লাহর দান”সহ ফ্রিজিয়ান জাতের ২টি এঁড়ে গরু,একটি দুধের গাভী ও একটি ছোট বাচুর রয়েছে।
শনিবার (১৮ই জুলাই)বিকালে উপজেলার ভরতপুর গ্রামে খামারি ইসলামের বাড়ীতে যেয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,প্রতিদিন শতশত মানুষ আসছে আলোচিত এই “আল্লাহর দান”নামের ষাঁড়টিকে দেখতে।সরেজমিন অনুমান সাপেক্ষে ষাড়টি ১১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হবে।
খামারি ইমলামের ভাষ্যমতে,প্রতিদিন খৈল,গম, ছোলার ভুসি, কুড়া,কাঁচা ঘাস, সবমিলে প্রায় ৫০০ টাকার খাবার এখন ষাঁঢ়টিকে খাওয়ানো হচ্ছে।
ষাঁড়টির ওজন আনুমানিক ২৮/৩০ মন।মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এবার গরুর দাম একটু কম। তবে ১০লক্ষ টাকায় “আল্লাহর দান”নামের এই ষাড়টি বিক্রয় করতে চান ইসলাম।
এবারের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইসলামের “আল্লাহর দান” নামের ষাড়টি স্থানীয়ভাবে বেশ সাড়া ফেলেছেন বলে স্থানীয়দের মন্তব্য থেকে জানা গেছে।
মাত্র আড়াই বছর লালনপালন করে এতো বড় হয়েছে, আরও বছর খানেক রাখতে পারলে গরুটির ওজন ৫০ মন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা করছে ষাড়টির নিয়মিত চিকিৎসক সেলিম।