স্টাফ রিপোর্টারঃ একটি ২৬ শতক জমির মালিক হয়েও অন্য শরীদের কারণে ভোগদখল করতে পারছেন না যশোর সদর উপজেলার চাঁদপাড়ার (বোর্ড অফিসপাড়া) সাইদুর রহমান (৬১)। পুকুরের ইজারাদার ওই সম্পতির আরেক শরিক এলেম হোসেন কৌশলে পুকুরটি আঁকড়ে আছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাইদুর। এখন পুকুরপাড়ে তার বাড়িটি পুকুরগর্ভে বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাধ্য হয়ে তিনি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন।
সাইদুর রহমানের অভিযোগ, তার বাড়ির সামনে পুকুরটি পৈত্রিক ৫২ শতকের পুকুরটির শরিক অনেকে। এরমধ্যে ৪শতক জমি অন্যান্য বাড়ি যাওয়ার রাস্তা। বাকি ৪৮ শতক জমির মধ্যে ২৪ শতক তার। বাকি দেড় শতক জমি অন্য শরিকের কাছ থেকে কিনে মোট সাড়ে ২৫ শতক জমি তার। যার পুরোটায় পুকুর। ওই সম্পতির আরেক শরিক এলেম হোসেন বিশ্বাস। তার জমি ছিলো মাত্র ৪ শতক। এরমধ্যে সাড়ে তিন শতক তিনি বিক্রি করে দেন। আছে মাত্র আধাশতক। জমিটি পুকুর পাড়ে বিধায় তিনি ৭ বছর আগে পুকুরটির মুখেমুখে লিজ নেন এলেম। কিন্তু আজঅব্দি লিজের কোন টাকা দেননি। পুকুর ছাড়তে বললে তিনি তা ছাড়েন না।
এদিকে পুকুর পাড়ে তার বাড়ি। পাড় ভেঙ্গে এখন বাড়ির কাছে এসে পৌছেছে পুকুরটি। তিনি সংস্কারের জন্য পুকুর পাড়টি বাঁধাতে চান। কিন্তু বাঁধা দেন এলেম বিশ্বাস। তার (এলেম বিশ্বাস) দাবি পুকুরের পাড় দিয়ে আগে রাস্তা হোক। তার পর সমাধান। কিন্তু এখনই পুকুরের পাড় না বাঁধলে তার বাড়িটি পুকুরে বিলিন হয়ে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে সাইদুর রহমান স্থানীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলে অভিযোগ করেন। কিন্তু সমস্যার সামধান হয়নি। সর্বশেষ তিনি গত ৮ জুলাই কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা হয় এলেম হোসেনের সাথে। তিনি বলেছেন, ওই জমির অর্ধেক তার শরিকরা। সকল শরিকদের সাথে কথা হয়েছে পুকুর পাড় দিয়ে রাস্তা তৈরি হবে অন্য বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সাইদুর রহমান রাস্তা নির্মান করেননি। কালক্ষেপন করছেন। এখন রাস্তা নির্মাণ বা রাস্তার জায়গা নিশ্চিত না হলে পরবর্তীতে অন্যান্য শরিকরা বিপদে পড়বে। তিনি বলেছেন, জমির কোন সুনির্দিষ্ট কোন দলিল কারোর নেই। তবে তার শরিকদের সম্পতির সকল কাগজপত্র রয়েছে। আর পুুকুরের মধ্যে তার সাত শতক জমি আছে। যার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। সাইদুর রহমানের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে, কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার আফম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, সাইদুর রহমানের অভিযোগ পেয়ে তিনি নিজে গিয়েছিলেন ওই চাদ পাড়ায়। সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকে নিয়ে সমস্যার সামাধান করা হবে