বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক) এর চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন রকম অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে বড় অভিযোগ হলো ২০১১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য উন্নয়ন পদে যোগদান কাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী হাসান আলীর সহযোগিতায় অবকাঠামো নির্মান সহ প্রত্যেকটি উন্নয়নমুলক কাজ থেকে শতকরা ৫ ভাগ হারে কমিশন আদায় করা। ফলে ঠিকাদাররা সদইচ্ছা থাকা সত্বেও তাদের ব্যবসায়িক সাফল্যর দিকে তাকিয়ে সঠিক ভাবে কার্যসম্পাদন করতে ব্যর্থ হন। অপরদিকে নানা কৌশল অবলম্বন করে ২০১১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত চিহিৃত ৫/৬ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যেমে তিনি সকল প্রকার উন্নয়ন মুলক কাজ এর কার্যাদেশ দিয়ে থাকেন।
বাস্থাবক এর বেনাপোল বন্দরে কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক মোঃ এনামুল হক মোল্যা এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এই অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিভিন্ন ভাবে অবৈধ লেনদেন এবং যোগাযোগের মাধ্যেমে তিনি সকল ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটির অডিটর মোঃ জামাল উদ্দিন ভুইয়া জীবনকে ব্যবহার করেন। চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আরও যে সব অভিযোগ রয়েছে তার একটি হলো পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত বাংলাবান্ধা নামক ট্রানজিটটি ”বাংলা বান্ধা পোর্ট লিঃ” নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্টানকে বিওটি ভিত্তিতে ইজারা দেওয়া। সেখানে কাস্টমস এর রাজস্ব আদায় রেজিষ্টারের সঙ্গে উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের শুল্ক আদায়ের প্রমানাদির সঙ্গে কোন মিল নেই। ওই বন্দরে কর্মরত বাস্থাবক এর ওয়্যারহাউজ সুপার আমিনুল ইসলাম ও টি আই সাইদুর রহমান সাগর এ বিষয়ে চেয়ারম্যন এর দৃষ্টি আকর্ষন করলেও তিনি তা উপেক্ষা করে চলেছেন। এমনকি চেয়ারম্যান এই বন্দরে নয় ছয় কর্মকান্ডে সকল কিছুর অডিট দায়িত্ব ওই জামাল উদ্দিন জীবনকেই দিয়ে রেখেছেন।
এদিকে বাস্থাবক এর কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন সহ অন্যান্য ভাতাদির বকেয়া বিল প্রদানের বেলায়ও নানান অনিয়ম এর আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখিত অভিযোগে বলা হয়েছে। এতে বলা হচ্ছে প্রায় ৫৬ জন কর্মচারী কর্মকর্তা এই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এ ধরনের বৈষম্য সহ বাস্থাবক এর চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে আরও নানা বিধ অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাস্থাবক চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এর সেল ফোন ০১৭১১৫৩৮৮৫১ নং একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।