1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

ভারতে বসে সাতক্ষীরার সুন্দরবনের জেলে অপহরন, বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন আদায় , সাতক্ষীরায় পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং

  • প্রকাশের সময় সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০
  • ৮৭ বার সংবাদটি পাঠিত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ ভারতের বসে সুন্দরবনের মাছ ধরা জেলেদের অপহরনের পর জিম্মি করে মুক্তিপন হিসাবে বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করে আসছিল একটি চক্র। এই চক্রটিকে চিহ্ণিত করে তাদের কয়েক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সাথে মুক্তিপন পরিশোধ করে ফিরে আসা তিন জেলেকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন সাতক্ষীরা শহরের কয়েকজন বিকাশ এজেন্ট এই কাজে জড়িত। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে তারা এই অপরাধ করতো বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশ সুপার জানান সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা বিভাগের একদল পুলিশ বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে কিভাবে ভারতে টাকা পাচার করা হতো তা তদন্ত করতে গিয়ে ভারতে বসে মুক্তিপনের টাকা লেনদেনের প্রমান পান।
পুলিশ সুপার জানান এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত শহরের মুনজিতপুরের মামুনুর রহমান খোকাবাবু, দেবহাটার খেজুরবাড়িয়ার আলাউদ্দিন গাজী, শহরের সুলতানপুরের তৈয়েবুর রহমান কামরান এবং রহমান এন্টারপ্রাইজের মোঃ সাইদুর রহমান সাইদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে- বাংলাদেশের নাগরিক প্রদীপ ও তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামের মিঠুন দাস এবং ভারতীয় নাগরিক ত্রিমোহিনী গ্রামের আক্তার আলম গাজী, একই গ্রামের পান্না, বাপ্পি এবং ঘোজাডাঙার হাসান এন্টারপ্রাইজের নুনু এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের রয়েছে একটি টর্চার সেল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে মুক্তিপনের টাকা পাঠানো হয়। যতক্ষন টাকা না পাঠানো হয় ততক্ষন ধরে জেলেদের টর্চার সেলে আটক রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারপিট ও নির্যাতন করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান পুরো এই চক্রটি জেলেদের অপহরন করে মুক্তিপনের নামে টাকা আদায় করে তা ভারতে পাঠিয়ে আসছে। এ ঘটনায় সাইদুর রহমান সাইদ, মামলার ভিকটিম এশার আলী ও সাক্ষী হারিজ হোসেন তুহিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
পুলিশ সুপার দাবি করেন সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে এখনও জলদস্যুদের ৫টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা মাছ ধরা জেলেদের অপহরন করে ভারতে নিয়ে যাচ্ছে। পরে তাদের হত্যা করছে অথবা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মির্জা সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল ইসলাম জিয়া , সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION