কলারোয়া(সাতক্ষীরা)নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে উচ্চতর স্কেল গ্রহনের অভিযোগে মহা পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকাসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গণদরখাস্ত করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৯জুলাই) সকালে তারা এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম, রইচ উদ্দীন গাজী জানান, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম যার ইনডেস্ক নং-১০২৭০৩৮। তিনি গত ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারীতে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এর পরে তিনি ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারী শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশ চলে যান। তিনি ৩বছর ছুটি ভোগ করার কথা বলে ২০০৫ সালের ১৭জুন পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৩ সালের ১জুলাই ৮বছর পূর্ন হওয়ার কথা বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সরকারী ছুটির বিধান বর্হিভুত ভাবে ৫বছর চাকুরী করার পরও সাড়ে চার বছর ছুটি পাওয়ার কথা না। এত বছর বিদেশে অবস্থান কালে কিভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার উচ্চতর স্কেল প্রদান করেন। বিদেশে অবস্থান কালে ছুটির পরে কমপক্ষে ৫বছর চাকুরী না করলে বিধি মোতাবেক সরকারী কোষাগারে সমুদয় টাকা ফেরত দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে আবুল কাশেম ২০১৮সালের ৯জুন দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পদত্যাগ করে নিয়ম-বর্হিভুত ভাবে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার গোলগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এর পরে তিনি ২০১৮সালের ৩০জুন পর্যন্ত দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেন। কিন্তু শিক্ষক হাজিরা বইতে তার ২০১৮সালের ২২জুনের স্বাক্ষর আছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ১০জুন থেকে ২০১৮ সালের ২১জুনের কোন স্বাক্ষর নাই। তিনি এই ভুয়া অভিজ্ঞতা নিয়ে কিভাবে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ গ্রহন করেন। পরবর্তীতে এই শিক্ষক সাতক্ষীরার বিকে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে কর্মরত রয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম ও রইচ উদ্দীন গাজী আরো জানান, বিদেশে সাড়ে ৪ বছর অবস্থান করলে কিভাবে চাকুরী থাকে এবং তিনি কি ভাবে উচ্চতর স্কেল পান। এধরনের দূনীতির কাজে জড়িত থাকায় শিক্ষক আবুল কাশেম ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারে বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক অফিশিয়াল ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তারা সরকারে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত আবুল কাশেমের ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সেল ফোনে সাড়ে ৬টার দিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।