স্টাফ রিপোর্টারঃ মুড়ি বিক্রেতা হাসেম ভাই। বিশেষ করে যারা জিলা স্কুলের ছাত্র তাদের কাছে তিনি পরিচিত মুখ। ভাগ্যের নির্মমতায় বড় অসহায় হয়ে দিন কাটছিলো তার। মাথা গোজার ঠাই বলতে ছিলো তার জরাজির্ন একটি টিনের ঘর। ফুটো ফাটা ঘরে একটু বুষ্টিতেই হয়ে উঠতো হাটু পানি। স্ত্রী এবং ২ সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস ছিলো তার। দীর্ঘ ৩ বছর অসুস্থ থেকে যখন মাথা গোজার ঠাই টুকুও হারাতে বসেছিলেন তিনি। ঠিক তখনই নজরে পরে আরিফ জিহাদের। তিনি হাশেমের পাশে দাঁড়াতে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আরিফ জিহাদ স্কুলের পক্ষথেকে একটি প্রজেক্ট চালু করেন। হাশেমকে নিয়ে বাঁচতে প্রজেক্টের নাম দেয়া হয় “এক সাথে বাঁচি”। এরই মাঝে হাসেম ভাইয়ের শুভাকাংখীরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। সকলের আর্থিক সহযোগিতায় গত মাসে ৭ তারিখ থেকে কাজ শুরু হয়। হাশেমও স্বপ্ন দেখতে থাকে নতুর বাড়ির। চলতি মাসের ৭ তারিখে সে স্বপ্ন পুরণ হয় তার। এদিন হাশেম নিজেই নিজের স্বপ্নের বাড়িটি ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন। স্বপ্নের বাড়ি পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে যশোর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রমএলাকার হাসেম আলী জানান, আরিফ জিহাদ স্কুল ও শোভাকাঙ্খিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা তার নেই । তিনি এতোদিন শুধু স্বপ্নই দেখেছেন কিন্তু আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। একই সাথে তিনি সকলের মঙ্গল সকলের সহযোগিতায় নিজের স্বপ্নের বাড়ি নিজেই উদ্বোধন করছেন হাশেম। কামনা করেন। এ বিষয়ে আরিফ জিহাদ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিফ জিহাদ জানান, আমাদের অনেক স্মৃতি তাকে ঘিরে । মাঝখানে তিনি দীর্ঘ ৩ বছর অসুস্থ থাকায় তার জীবনে অনেক সমস্যা নেমে আসে। বিষয়টি তিনি জানার পর তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেন হাশেম ভাইকে একটি বাড়ি করে দেবেন। সকলের প্রচেষ্টায় আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো জানান টেকশই উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা এর অধীনে আরিফ জিহাদ স্কুলের সামনে আরো কিছু প্রজেক্ট আছে। দির্ঘদিনধরেই যশোরে আরিফ জিহাদ স্কুল নানা ধরণের সামাজিক কাজকরে আসছে। আগামিতেও যাতে এ কাজের ধারা অব্যহত রাখা যায় সেজন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন মি.আরিফ জিহাদ।