স্টাফ রিপোর্টারঃ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দে খুন হওয়া বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ ওরফে রাসেল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি মেহেদি হাসান বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেম আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।আটক মেহেদী হাসান শান্ত যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রন্টু মিয়ার ছেলে।
যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের সালেক মৃধার ছেলে রাসেলকে গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়ায় হত্যা করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র। এসময় তার বড় ভাই আল আমিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল রাতে আবু সালেক এলাকার চিহ্নিত ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ অপরাধি চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, খুন মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মুলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। সাব্বির আহম্মেদ রাসেল ও আল আমিন আসামিদের বেআইনি কার্যকলাপে বাধা দিলে শহীদের নেতৃত্বে আসামিরা রাসেলকে খুন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ১৫ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে রাসেলসহ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশান পাড়ার জনৈক রবিউল ইসলাম বাবুর দোকানের সামনে ত্রান বিতরনের তালিকা করছিলো। এ সময় শহীদের নেতৃত্বে আসামিরা বেপরোগতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় রাসেল তাদেরকে মোটর সাইকেল আস্তে চালানোর জন্য অনুরোধ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসীরা রাসেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ইমদাদুল হক , ওমর আলী, রেজাউল ইসলাম, আজাদ, শাহিন আলমকে আটক করে ঘটনার ৪ দিনের মাথায়। তাদেরকে আদালতে চালান দেয়া হয়। ২০ এপ্রিল রাতে বালিয়া ভেকুটিয়ার এজাহার নামীয় আসামি শাহিন আলমকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২১ এপ্রিল তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।্ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন আহসান উল্লাহ চৌধুরী সহ পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান শুরু করেন। এরপর ২১ এপ্রিল গভীর রাতে চৌগাছা উপজেলার মাড়ুয়া থেকে পুলিশ পিচ্চি বাবুকে আটক করে। সে যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। ২২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিচ্চি বাবুকে আদালতে সোপর্দ করে। বিচারক মাহাদী হাসানের আদালতে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার এ মামলার আরেক আসামি শান্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন