মনিরামপুর সংবাদদাতাঃ মণিরামপুরে মহামারী করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের সৃষ্টি করা অনলাইন পত্রিকার
সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয় দিয়ে দাঁপিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একটি
চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মীরা প্রশ্নবাণের পাশাপাশি প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কথিত অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচায়দানকারীদের চিহ্নিত পূর্বক আইনের আওতায় নেয়ার দাবী উঠেছে সর্বত্র।
জানাযায়, ১৫/২০ জনের একটি চক্র প্রতিদিন কাঁকডাকা ভোরে প্রেস লেখা নিজের ও ভাড়াকরা
মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে নিজেদের
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে নানা ঘটনায় অনৈতিক সুবিধা আদায়সহ হয়রানির চেষ্টা করতে থাকে। এসব ঘটনায় কিছু ব্যক্তি তাদের নিকট সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে নিজেদের সৃষ্টিকরা অনলাইনের লেমিনেটিং করা কার্ড বের করে। এসময় সচেতন অনেকেই অনলাইনের বৈধতা কতটুকু আছে তা জানতে চেয়ে তাদেরকে বলেন, এই কার্ড তো কোন সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র না। তখন চক্রের সদস্যরা স্থানীয় মানুষকে নানাভাবে বুঝিয়ে
বলতে থাকে টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদিক আলাদা। আমরা পত্রিকার না হলেও অনলাইন ও ফেসবুক চালিয়ে সাংবাদিকতা করি। শুধু গ্রামাঞ্চল নয়, মাঝে মধ্যে মণিরামপুর থানা, শিক্ষা অফিস, খাদ্যগুদাম ও দলিল লেখক সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে তাদের পদচারণা রয়েছে। ওই চক্রের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষমতাধর কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয় এবং কাছের লোক পরিচয় দিয়ে সরকারি দপ্তরসহ সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা চালিয়ে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান মহামারী করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এই অনলাইন সাংবাদিক চক্রের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল দাঁপিয়ে বেড়ানোর কারণে সচেতন মহলে নানা আলোচনা স্থান পাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সচেতন অনেকেই স্থানীয় প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানতে চান অনলাইন সাংবাদিক ও তার সম্পাদকদের কতটুকু বৈধতা রয়েছে। প্রতিনিয়ত এমন প্রশ্নবাণের সম্মুখিন হতে হচ্ছে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের। দাবী উঠেছে, অবৈধভাবে নিজেদের সৃষ্টিকরা অনলাইন সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রকাশক পরিচয়দানকারীদের চিহ্নিত পূর্বক আইনের আওতায় আনা হলে প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মীরা নানা প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতারণার কবল থেকে রক্ষা পাবে।