আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস প্রভাবে কেনাবেচা বন্ধ থাকায় কেশবপুর পশু হাট মালিক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে। গত তিন মাস পশু হাট বন্ধ থাকায় বিগত ২৩ টি হাটে বাজারে গরু শৃন্য গেছে। পশু হাট মালিক আবু কালাম জানান, ভ্যাটসহ কেশবপুর পৌরসভার পশু হাটটি প্রায় ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকায় দরপত্রের মাধ্যামে ক্রয় করা।
সেই হিসাবে প্রতি হাটে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উঠানোর কথা।কয়েক দিন পর ঈদুল আজহা।চলমান করোনা পরিস্থিতির কারোণে এবার বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে হাট চালাতে হচ্ছে। ঈদুল আজহার প্রধান উৎসাব কোরবানি। তাই গরু হাট জমে উঠার কথা। কিন্তু এবার গরু শৃন্য পশু হাট। এর উপর কেশবপুর সাতবাড়িয়া বাজারে অবৈধভাবে পশু হাট গড়ে উঠেছে। এই হাটটি বন্ধের দাবি জানান তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় দুই কোটি টাকার এই হাটটিতে কয়েকটি গরু উঠেছে। নেই লোকসমাগম। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সাতবাড়িয়া,ভান্ডারখোলা মঙ্গলকোট,চিংড়া বাজারে অবৈধ গরুহাটের করণে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং একইসাথে বৈধ পশু হাট মালিকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। করোনাকালে এ পশু হাট মালিকরা চরম হতাশায় ভুগছেন।এ হাটের ইনচার্জ ইকবাল খান তোতা জানান,সপ্তাহে দু টি হাট বসে এখানে। প্রতিদিন দশ থেকে বিশ হাজার টাকা আদায় হচ্ছে। পশু হাটের একটি বড় আয় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়। ঈদুল ফিতরের সমায় আম্পান ও করোনা প্রভাবে হাট বন্ধ ছিল। এবার ঈদুল আজহায় ও একই অবস্থা। মোট ১৮ জন লোক কাজ করে এই হাটটিতে। তাদের বেতন এবং হাটের টাকা মিলে কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। এমন অবস্থায় চরম আর্থিক ক্ষতিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কমনা করছেন তিনি।