নমুনা সংগ্রহ করতেন সাধনা মিত্র (৫০)। নমুনা সংগ্রহের একপর্যায়ে নিজেই করোনায় সংক্রমিত হলেন। সুস্থ হয়ে তিনি আবার ফিরে এলেন নমুনা সংগ্রহের কাজে।
দৃঢ় মনোবল এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে জয় করলেও সড়ক দুর্ঘটনার কাছে হেরে গেছেন তিনি। প্রায় নয় ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে হার মেনেছেন। গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সাধনা মিত্র যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্বামী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, গতকাল বিকেলে সাধনা মিত্র একটি জরুরি কাজে স্বাস্থ্য সহকারী জাহিদুল ইসলামের মোটরসাইকেলে করে যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কেশবপুর যাচ্ছিলেন। বেলা সোয়া তিনটার দিকে উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলের চাকার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি মহাসড়কের ওপর পড়ে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত পৌনে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান।
শুভ্রা রানী দেবনাথ আরও বলেন, সাধনা খুব ভালো স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। তিনি একের পর এক উপজেলার সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। একসময় নিজেই কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা জয় করেছেন। পরে তিনি আবার নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুতে অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।