1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

মনিরামপুরে ওহাব ডাক্তার না ফেরার দেশে

  • প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০
  • ৪৮ বার সংবাদটি পাঠিত

মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রফেসর, বেশ কয়েকবার ভারপ্রাপ্ত পরচালক, বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি, অসংখ্য মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ডা. এম এ ওয়াহাব ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।) কিডনীতে জটিলতা, লাঞ্চে পানি জমে থাকা ও বার্ধক্য জনিত কারণে রাত ১২ টা ৪৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা, নাতি-নাতনি’সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। গত কিছুদিন তিনি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানাজার নামাজঃ
১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী ঢাকাতে।
স্থানীয় এলাকায় ১ম জানাজাঃ আজ বেলা ১১:৩০মি: নাগরঘোপ স্কুলে ১ম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় জানাজাঃ হাসাডাঙ্গা বাড়ী সংগ্লগ্ন মসজিদে যোহর নামাজ বাদে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রফেসর ডা. এম এ ওয়াহাব (এফআরসিএস) অবদান হয়তো শেষ করা যাবে না। অদম্য মেধাবী ও সাধারণ মানুষের জন্য উদার হস্তে করেছেন। তিনি যে কি পরিমাণ দানশীল তা অনেকেই হয়তো জানেন না। কাওকে দান করে অন্য কাওকে বলেছেন বা জানিয়েছেন এমনটা কেউই বলতে পারবেন না। কেশবপুরে নিজ বাড়ীতে চিকিৎসা দিতে বাড়ীতেই গরীব ও অসহায়দের বিনামূল্যে দাতব্য ব্যবস্থা রেখেেেছন। ব্যক্তি জীবনে খুব সাদামাটাভাবে কাটিয়েছেন সব সময়। যশোর জেলার কেশবপুর ও মনিরামপুর শিক্ষিত ও গরীব মানুষের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের অন্যতম ডাক্তার এম এ ওয়াহাব। মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি অনেকটা নিভৃতেই কাজ করে গেছেন বলে অনেকেই তার কাজ সম্পর্কে অবগত নন।
তিনি যশোর তথা কেশবপুর-মণিরামপুরের কৃতি সন্তান। তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই ডাক্তার এম এ ওয়াহাবের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। কেশবপুর, মণিরামপুর, যশোর সহ সারা বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। নিজের এলাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত শিক্ষিত ও অদম্য মেধাবীদের জন্য আজীবন তিনি আর্থিক ও অন্যান্যভাবে নিঃস্বার্থ, নিবেদিতপ্রাণ হিসাবে সহযোগিতা করেছেন। তার আর্থিক সহযোগিতায় আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি চাকুরিজীবী ও সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষ হিসাবে জীবন যাপন করছেন। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা তার অবদানে চলে। এলাকার গরীব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে তিনি কখনোই কার্পণ্য করেননি। তিনি নিজের বাড়ী হাসাডাঙ্গার রাস্তা পাকা পর্যন্ত করে দিয়েছেন।
প্রফেসর ওয়াহাবের বড় ছেলে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ডা. তিতাস ও তার সহধর্মিণী তিনিও পেশায় ডাক্তার সার্বক্ষণিক তার চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা করেছেন। ডা. ওয়াহাবের ছোট ছেলে তানজিম এ সময় সব কিছু সমন্বয় করেছেন। পরিবারের সকলের পক্ষ থেকে দোয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাতেই লাশ দাফনের জন্য যশোরের কেশবপুরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন। আল্লাহ মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের উপর শান্তি বর্ষণ করুন। আমিন।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION