স্টাফ রিপোর্টারঃ ভার্চুয়াল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও স্বাভাবিকভাবে আদালতের কার্যক্রম শুরুর দাবিতে যশোরে আইনজীবীরা মানববন্ধন করেছেন। একই সাথে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু না হলে আদালত বর্জনসহ বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচির হুসিয়ারী দেন তারা। এরআগেও পহেলা জুন একই দাবিতে তারা মানববন্ধন করেন। এবং সেসময় সাতদিনের আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু পরে তা থমকে যায়। দ্বিতীয়বারের মত সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে তারা আবারও মানববন্ধন করেন।
আধা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে আইনজীবী নেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত তিনমাস ধরে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ। যেভাবে চলছে তাতে মুষ্টিম কযেকজনের উপকৃত হলেও অন্যরা সবাই ক্ষতির মুখে পরছে। দেওয়ানী মামলা রেকর্ড হচ্ছেনা, রিমান্ড শুনানী পেন্ডিং রয়েছে, পি ডাবলু প্রত্যাহার হচ্ছেনা, এছাড়া আইনজীবীদের প্রশিক্ষন নেই। এতসব প্রতিবন্ধকতার মাঝে ভার্চুয়াল আদালতে অংশ নেয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলে তারা উল্লেখ করেন। কেউ কেউ বলেন, করোনার ভয়ে বিচারকেরা ভার্চুয়াল প্রদ্ধতিতে আদালত পরিচালনা করছেন। এতে কি হচ্ছে ? বিচারকেরাওতো করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে একটি চক্র বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছে। যা মোটেও সমেচীন নয়। তারা আরো বলেন, ভার্চুয়াল আদালতে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বি ত হচ্ছে। এমনকি তাদের জামিনে মুক্তি পাওয়ার মানবাধিকারও লংঘিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ভার্চুয়াল কোর্ট বন্ধ ঘোষণা করে স্বাভাবিকভাবে আদালতের কার্যক্রম শুরুর বিকল্প নেই । জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘সরকার যে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম চালু করেছে, এতে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সবার কাছে প্রযুক্তিগত সুবিধা নেই। আর যারা কোর্টে অংশ নিচ্ছেন তাদের আলাপচারিতাও সঠিকভাবে হচ্ছে না। এ অবস্থায় মানুুষের আইনি অধিকার ফিরিয়ে দিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু না হলে আদালত বর্জনসহ বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো বলেও তিনি হুসিয়ারী দেন। মানববন্ধনে আরো অংশ নেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নজরুর ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরিদুল ইসলাম, আমিনুর রহমান জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমদাদ, মোস্তফা মন্টু, নাসির উদ্দিন, নাসিমা খানম, আবু মুরাদ, স্বপন ভদ্র, তাজ হোসেন তাজু, জাহাঙ্গির আলম, আশরাফুল আলম, শহীদ আনোয়ার পাভেল, সাজ্জাদ হোসেন পাপ্পু প্রমুখ। #