আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে স্বাস্থ্য কর্মী সহ ২ জন করোনা রোগী শনাক্ত
কেশবপুরে বুধবার স্বাস্থ্য কর্মী সহ ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন কেশবপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মধুসড়কে বসবাসকারি ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেেক্সর স্বাস্থ্যকমী অপরজন হলেন পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ভোগতী গ্রামের এক যুবক।কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন এটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
শিরোনামঃ
কেশবপুর পৌরসভার ২০২০,২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
কেশবপুর পৌরসভায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বল্পপরিসরে ২০২০Ñ২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে পৌর সচিব মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় ২০২০Ñ২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম। বাজেটে মোট আয় দেখানো হয়েছে ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৪শত ৩২ টাকা,ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা,উদ্ধত্ত দেখানো হয়েছে ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৪শত ৩২ টাকা। বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এমামুল হক,পৌর কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান,আব্দুস সাত্তার খান,মফিজুর রহমান খান মফিজ,জাকির হোসেন,মনিরা খানম মেহেরুনন্নেসা মেরি প্রমুখ।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে
পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের নিকট মাস্ক জন্য প্রদান
কেশবপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বুধবার সকালে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলামের নিকট ১শত পিচ মাস্ক বিতরণ করার জন্য প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলার ব্রষ্ককাটি গ্রামের খন্দকার এ এফ এম শাফি জানান,অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করার জন্য মেয়র রফিকুল ইসলামের নিকট প্রদান করা হয়।
শিরোনামঃ
কেশবপুর পৌর শহরের বারিক মোড়ল নিখোঁজ
কেশবপুর পৌর শহরের বায়সা(নুরপুর এলাকার মৃত মুজিবুর রহমান মোড়লের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী আব্দুল বারিক মোড়ল (৫৫) গত ১৯ জুন হারিয়ে গেছে।
সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কেশবপুর থানায় বুধবার সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নং-৮৬৫, তাং-২৪-০৬-২০২০। তার উচ্চতা ৬ ফুট, মাথার চুল সাদা, গায়ের রং ফর্সা,গায়ে সাদা সার্ট ও লুঙ্গি ছিল।যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পেয়ে থাকলে ০১৭৯১৭৩৪৪৮৭ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সন্ধান দাতাকে উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করা হবে।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ
কেশবপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ। পাশের উপজেলা কলারোয়া থেকে কেশবপুরের দত্তনগর গ্রামের অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি ছেলে বাল্যবিবাহ করে নিজ বাড়িতে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা।
এ সময় তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাবলে বাল্য বিবাহের অপরাধে ছেলের পরিবারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে পৃথক থাকতে বলা হয়।এ ব্যাপারে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা জানান, উপজেলার দত্তনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইকবল হোসেন (১৮) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা খাতুন (১৪)-কে বিয়ে করে। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত দু’জনই পৃথক থাকবে এ মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেলের পরিবারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় গাড়ি ভাড়া করে মেয়েকে তার বাপের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ইরুফা সুলতানা আরও জানান, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে এই ধরনের অপরাধ যদি কেশবপুর উপজেলার অন্য কেউ করে তাহলে বাল্যবিবাহের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রশাসন এ বিষয়ে সবোর্চ্চ নজরদারি রাখবে।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে বিয়ের মাস পার না হতেই
যৌতুকের বলির শিকার নববধু সালমা
বিয়ের মেহদীর রং শুকাতে না শুকাতে যৌতুকের বলির শিকার হলো সালমা খাতুন(২০) নামে এক নববধুর। পিতৃপক্ষের অভিযোগ হত্যা আর শশুরবাড়ীর লোকজনের দাবি সে আতœহত্যা করেছে। হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেশবপুর উপজেলার গোপসানা গ্রামে।
জানা গেছে, প্রায় এক মাস আসে কেশবপুর উপজেলার গোপসেনা গ্রামের ওমর ফারুকের সাথে বিয়ে হয় মনিরামপুর উপজেলার পারখাজুরা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে সালমার। বিয়ের পর যৌতুকের টাকা নিয়ে প্রায় সালমার উপর অমানুষিক নির্যাতর করত তার পাষন্ড স্বামী ওমর ফারুক। বুধবার সকালে ঘরের ফ্যানে সালমার লাশ ঝুলতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দিলে চিংড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ থানার মহিলা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে ঐ নববধুর ঝুলান্ত লাশ উদ্ধার করে। নিহত সালমার পিতা মজিবর রহমানের অভিযোগ, শশুরবাড়ীর লোকজন মিলে তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে এলাকায় আত্মহত্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে, তাই যদি না হবে তাহলে বাড়ীর লোকজন সব পালিয়েছে কেন? তিনি আইনের মাধ্যমে তার মেয়ে হত্যার এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ব্যাপারে চিংড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই দিপক দত্ত জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের পর সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা!
এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।