আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
শিরোনামঃ
কেশবপুরে ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রান নাশের হুমকী
থানায় জিডি ভয়ে বাড়িছাড়া
কেশবপুরে বেসরকারী ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাকে প্রান নাশের হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।এদিকে হুমকি কারণে ব্যাংক কর্মমর্তা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যস্থানে দিনরাত কাটাছে।
থানায় ডায়েরী সূত্রে জানাগেছে, উপজেলারবাগদা গ্রামের মৃত জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শরিফুল ইসলাম বিগত ২০১৩ সালে কেশবপুরস্থ “আকিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যন্ড ফাইনান্স ব্যাংক লিঃ এর সেকেন্ড অফিসার পদে যোগদান করার পর বাগদা গ্রামের কাসেম মোড়ল,মশিয়ার রহমান,টিকুল হোসেন ও শহিদুজ্জামানসহ প্রায় ৯/১০ জন ব্যক্তি ৪ বছর মেয়াদী ফিক্সট ডিপজিষ্ট করে ব্যাংকে টাকা রাখে। যার পরিমান প্রায় ২১ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে কাশেম মোড়লের স্ত্রী আলেয়া বেগম প্রতি মাসে লভ্যাংশ উত্তোলনের শর্তে ২ লক্ষ টাকা জমা রাখার পর তার মেয়াদ শেষ হয়েছে।আলেয়া বেগমের ফিক্সট ডিপজিষ্টের টাকা ফেরত দিতে দেরী হলে তার পক্ষে উল্লেখিত ফিক্সট ডিপজিষ্টের অন্যান্য ব্যক্তির জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে সই-স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়াসহ তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। গত ০৫-০৬-২০ তারিখ বিকেলে বাগদা মাঝেরপাড়া মসজিদের সামনে পেয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিরা তাকে কিল-ঘুষি ও প্রাননাশের হুমকী দিয়ে জোর করে তার কাছ থেকে নন-জুডিসিয়াল স্টাম্পে (৩০০টাকার) তিন ফর্দে সহি-সাক্ষর করে নেয়। বর্তমানে ঐ সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা তাদের ভয়ে গ্রাম ছাড়া রয়েছে। এই ঘটনায় শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কাসেম মোড়লসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত ২০ জুন ২০২০ কেশবপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার ডায়েরী নং-৭১৬
শিরোনামঃ
কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধ প্রবাসীর স্ত্রীর ৭ টি মুগি বিষ দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ
কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুর পোষা মুগি বিষ খাইয়ে মেরে দিয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারগিস বেগম বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের প্রবাসী মনিরুল ইসলামের স্ত্রী নারগিস বেগমের সাথে একই গ্রামের আব্দুল মজিদ,লুৎফর রহমান ও শামিমা খাতুনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এইর জের ধরে শুত্রæবার আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে লুৎফর রহমান,শামিমা খাতুন,তাছলিমা খাতুন মিলে মাছের সাথে বিষ মিশিয়ে নারগিস বেগমের বাড়ির উঠানে ছিটিয়ে দেয়। বিষ মেশানো মাছ খেয়ে নারগিস বেগমের ৭ টি মুগি মারা যায়। এদিকে নারগিম বেগমের স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষরা নারগিস বেগমকে বিভিন্নভাবে হুমকি,অত্যাচার,নির্যাতন ও মারপিট করে আসছে। এ ঘটনায় নারগিস বেগম বাদি হয়ে কেশবপুর থানায় একটি জিডি করে যার নং ৩২৭,তাং ০৯,০৩ ২০২০। এ ব্যাপারে আব্দুল মজিদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
শিরোনামঃ
কেশবপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে রাস্তা সিসি ঢালাই উদ্ধোবন
কেশবপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ব্রক্ষকাটি মাঝের পাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে উত্তর দিকে ব্যাসডাঙ্গা বিলের রাস্তা সিসি ঢালাই উদ্ধোবন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম প্রধান অথিতি হিসেবে সিসি ঢালাই এর উদ্ধোবন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান খান মফিজ, মনিরা খানম, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর দফাদার, কেশবপুর নিউজক্লাবের প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান,যুবলীগনেতা আলমগীর দফাদার প্রমুখ।
জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান কে নিয়ে অপত্তিকর ভিডিও পোষ্ট করায় সাইবার আইনে মামলা করলেন সাংবাদিক আব্দুল্যাহ আল মাহফুজ
শিরোনামঃ
জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান কে নিয়ে অপত্তিকর ভিডিও পোষ্ট করায় সাইবার আইনে মামলা করলেন সাংবাদিক আব্দুল্যাহ আল মাহফুজ সাইবার সিকিউরিটিতে দায়ের করা অভিযোগে তরুণ সাংবাদিক আব্দুল্যাহ আল মাহফুজ উল্লেখ করেন আমি বর্তমানে জয়যাত্রা টেলিভিশন যশাের জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছি ।
সম্প্রতি পিসফুল টিভি নামে একটি ইউটিব চ্যানেলে আবু সালেহ নায়েব আলী নামের একজন ব্যক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বর্ষিয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী মােঃ নাসিম এর মৃত্যু নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও পোষ্ট করার পর জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর , উক্ত ঘৃণ্য বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে টেলিভিশনের টকশােতে কথা বলায় বিবাদী ১। আবু সালেহ নায়েব আলী , ২। এম রহমান মাসুম , ৩ । আসাদুজ্জামানগণ গত ১৫/০৬/২০২০ তারিখে ইউটিব চ্যানেল সহ সামাজিক যােগাযােগ সাইটে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে । ব্যাংঙ্গ করে আপত্তিকর ভিডিও আপলােড করে । ঐ ভিডিওর ভিতরে বিবাদীগণ । আমার জয়যাত্রা টেলিভিশন ও চেয়ারম্যান মহােদয়কে নিয়ে মিথ্যা বানােয়াট ভিত্তিহীন বক্তব্য উপস্থাপন করেছে । এমতবস্থায় বিবাদীগণ যে কোন মুহুর্তে তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে আমার জয়যাত্রা টেলিভিশন ও চেয়ারম্যান মহােদয়কে যে কোন ধরনের । ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে । বিষয়টি ভেবে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করছেন তিনি মামলা নং৭৭৯। সচেতন মহলে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কে এই আবু সালেহ নায়েব আলী , তার পরিচয় কি? আর কি তার উদ্দেশ্যেই “? পিসফুল টিভি নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে পদ্মা সেতুেতে মানুষের মাথা লাগবে – বাংলাদেশ নাস্থিকদের কবলে চলে যাচ্ছে , বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীদের সকলেই মানষিক প্রতিবন্দি বলা ছাড়াও প্রতিদিন এজাতীয় অসংখ্য কাল্পনিক বিষয় তার প্রচারিত ইউটিউব চ্যানেলে আপলােড করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে । কোন দেশে বসে সে এমনটি প্রচার করছে তা সঠিক ভাবে আ্যাচ করা না গেলেও ধারনা করা হচ্ছে আমেরিকা, মালয়েশিয়া , দুবাই অথবা মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ থেকে এজাতীয় গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে এই আবু সালেহ নায়েব আলী গং । সম্প্রতি সে তার ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী নাসিমের মৃত্যু দিনটিকে ঈদের দিন বলে প্রচার করে তার এই জঘন্য বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রবাসীদের সিস্টার হিসেবে পরিচিত হেলেনা জাহাঙীর পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়ে ভিডিও পোষ্ট করায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে নায়েব আলী এম রহমান মাসুম, আছাদুজ্জামান গং তারা মানবতার কান্ডারী বিশ্রিষ্ট সমাজ সেবক হেলেনা জাহাঙীর (সিআইপি)কে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য ইউটিউবে প্রচার করছে একটি বিশেষ সূত্রে জানায় তারেক জিয়ার সার্বিক দিক নির্দেশনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এম রহমান মাসুম, নায়েব আলী,ও আছাদুজ্জামান সহ একটি টিম সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে প্রতিনিয়ত এ ছাড়াও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার করছে ইতিপূর্বে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগে কথাটি সত্য এর প্রমানও নাকি আছে নায়েব আলীর হাতে সে বলেছে চায়নিজরা নাকি মানুষের মগজ খেতে অভ্যস্থ , মানুষের মগজ বিশেষ করে বাচ্চাদের মগজ চায়নিজদের প্রিয় খাদ্য । আর এ কারণে বাংলাদেশে কর্মরত চায়নিজরা মােটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কিছু সংখ্যাক মানুষকে মাথা সংগ্রহে নিয়ােগ দিয়েছে । কে এই আবু সালেহ নায়েব আলী এম ও রহমানও আছাদুজ্জামান তাদের পরিচয় কি , তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব । এসব অপপ্রচার ও মিথ্যা গুজব বন্ধে তাদের কে খুজে বের করা হউক। আবু সালেহ নায়েব আলীদের মিথ্যা গুজব ছড়ানাের কারণে দেশে কয়েকজন নীরিহ মানুষ ছেলে ধরা সন্ধেহে গণ পিটুনিতে নিহত হয়েছিল। গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছিল আতংক এখুনি যদি তাদের লাগাম টেনে ধরা না হয় তাহলে চরম মূল্য দিতে হবে রাষ্টের এমনটি মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
শিরোনামঃ
কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড রেড জোন ঘোষণা করলেন: নিবার্হী অফিসার
কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড রেড জোন ঘোষণার কারণে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান এলাকাটি লক ডাউন করেছেন।
এ সময় এলাকা বাসিকে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য অনুরোধ হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ আলমগীর হোসেন, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা প্রমূখ। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াই কেশবপুর ইউনিয়ন কে গত ২০ জুন যশোরের সির্ভিল সার্জন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার শেখ আবু শাহীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে রেড জোন ঘোষণা করেন।এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আলা জানান কেশবপুর সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা ও সুজাপুর গ্রাম প্রশাসন লক ডাউন করেছেন বলে তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কেশবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে খামার পর্য়ায়ে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাহানপুর মাঠে সোমবার বিকালে এক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন দফাদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মনির হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইমরান বিন ইসলাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রাশেদ আলম রিন্টু ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বেলায়েত হোসেন।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে মায়ের উপর অভিমান করে গলায়
ফাঁস দিয়ে ছেলের আত্মহত্যা
কেশবপুরে মায়ের উপর অভিমান করে সুবিন্দু (২২) নামে এক স্বর্নকার দোকানের কর্মচারী গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করেছে। এঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। যার নং-৩০।তারিখ,২১-০৬-২০ ইং।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন যাবৎ অজ্ঞাত কারনে ঐ সুবিন্দু তার কর্মস্থালে যোগদান না করে বাড়ীতেই অবস্থান করছিল। তার মা বাবরবার তাকে কাজে যেতে বলেলও সে তার মায়ের অবাধ্য হওয়ায় গত রবিবার তার মা তাকে আচ্ছামত বকুনি । ঐ রাতেই মায়ের উপর অভিমান করে সুবিন্দু তার নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত সুবিন্দু উপজেলার বাউশালা গ্রামের হারা কর্মকারের ছেলে।