1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

কেশবপুর সংবাদ

  • প্রকাশের সময় রবিবার, ২১ জুন, ২০২০
  • ৬২ বার সংবাদটি পাঠিত

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:

শিরোনামঃ
কেশবপুর পৌরসভার রেড জোনে কর্মহীনদের মাঝে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলামের খাদ্য বিতরণ

কেশবপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে রেড জোনে লকডাউনে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে রেড জোনে লকডাউনে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেন, পৌর কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান, পৌর যুবলীগ নেতা লিটন গাজী প্রমুখ। এব্যাপারে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে কর্মহীনদের মাঝে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং আগামীতেও বিতরণ অব্যাহত থাকবে। পৌরবাসি ক্ষুধার তাড়নায় কেউ কষ্ট পাক আমি জিবিত থাকতে সেটা হবে না।

শিরোনামঃ

কেশবপুরে ২শ ৮৮টি পরিবার পাবে কৃষি সহায়তা

কেশবপুর উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সবজি ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক ২শ ৮৮টি পরিবারে ২শ ৮৮ শতক জমিতে সবজি চাষ করার লক্ষে সরকারীভাবে কৃষি সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম চলছে। রবিবার সকালে কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ২শ ৮৮টি পরিবারের মধ্যে ২শ ৮৮ শতক জমিতে সবজি ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কৃষি সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সকল পরিবারে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৯শত ৩৫ টাকাসহ ১০ প্রকার সবজির বীজ ও সাইনবোর্ড আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। তিনি আরও জানান, সরকারীভাবে প্রদানকৃত এই টাকা দিয়ে প্রত্যেক পরিবার তাদের ১ শতক জমিতে বেড়া তৈরি বাবদ ১ হাজার টাকা, সার বাবদ ৪শত ৩৫ টাকা, অন্যান্য খরচ ৫শত টাকা ব্যয় করবেন। ১০ প্রকার বীজের মধ্য রয়েছে লাল শাক, বর্মি কলমি শাক, পালং শাক, পুই শাক, বরবটি, করলা, বেগুণ, শিম, ঢেঁড়স ও মরিচ। কেশবপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সৈয়দ নাহিদ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র দত্ত বলেন, করোনা ভাইরাসের এই দুর্দিনে সরকার যে সাহায্য সহযোগীতা কৃষকদের জন্য করছেন কৃষকবন্ধুরা তা সযত্নে পরিচর্যা নিজে এবং জনসাধারণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।

শিরোনামঃ

কেশবপুরে জাতীয় ফল কাঠালের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী হচ্ছে ঢাকা রাজধানীতে

কেশবপুরে বিভিন্ন জাতের কাঠালের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা রাজধানীতেও রপ্তানি হচ্ছে কাঠাল বলে চাষীরা জানান। গত ২০ মে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে অনেক চাষীদের কাঠাল নষ্ট হয়ে গেলেও দাম ভালো পাওয়া কাঠাল চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় ফল কাঠাল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় ৫ শত শ্রমিকরা এই কাজে নিয়োজিত হয়েছে। শ্রমিকদের একমাত্র আয়ের উৎস হলো কাঠাল বাজার। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাঠালের কাজে শ্রম দিয়ে থাকে তারা। কাঠালের আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিকরা জানান, কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে ও যশোরের নওয়াপাড়া, সাতক্ষীরা, তালা ও কলারোয়া থেকে কাঠাল চাষী ও মালিকরা কেশবপুর কাঠাল বাজারে কাঠাল বিক্রি করতে আসেন। এসব কাঠাল কেশবপুর বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চিটাগাং, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে কাঠাল। বাইরে থেকে আসা কাঠাল ব্যবসায়ীরা কেশবপুর বাজার থেকে কাঠাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে ঢাকা রাজধানীতে। কাঠাল বাজারের শ্রমিক আলমগীর হোসেন, ফারুক হোসেন, জসিম, মিনারুল, ওলিদ, রুবেলসহ অনেক শ্রমিকরা জানান, কেশবপুর কাঠাল বাজারে আমরা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই কাজে নিয়োজিত হয়ে থাকি। ৩ থেকে সাড়ে ৩ শত টাকা শ্রম পেয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচও চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমরা এই কাজে শ্রম দিয়ে খুব সুখে আছি। কাঠাল ব্যবসায়ীরা জানান, এই বাজার থেকে কাঠাল ক্রয় করে আমরা ব্যবসা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন বাজার ও গ্রাম থেকে কাঠাল ব্যবসায়ীরা কেশবপুর থেকে কাঠাল ক্রয় করে নিয়ে ব্যবসা করছে। কাঠাল চাষীরা জানান, এবার বৃষ্টি না হওয়ায় কাঠাল বড় হয়েছে। যার কারণে এবার আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জোষ্ঠ মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে কাঠাল কেটে নিয়ে যায়।কাঠাল আড়ৎ সমিতির সভাপতি আব্দুল হালিম জানান, এবার বৃষ্টি না হওয়ায় কাঠালের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তবে আম্পানের আঘাতে অনেক কাঠাল চাষীদের গাছ কাঠাল পড়ে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।কাঠালের বাজার শনিবার,সোমবার ও বুধবার কাঠালের বাজার চলে।

শিরোনামঃ

কেশবপুরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ

কেশবপুরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ৭ অসহায় পরিবারের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আফিরের দেওয়া ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। ঢেউটিন বিতরণকালে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য গৌতম রায়সহ উপজেলা প্রশাসন।

শিরোনামঃ

কেশবপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে রাস্ত সিসি ঢালাই উদ্ধোবন

কেশবপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড সাবদিয়া সরদার পাড়া রয়েলের বাড়ীর সামনে রাস্ত সিসি ঢালাই উদ্ধোবন করা হয়েছে। রবিবার সকালে কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম প্রধান অথিতি হিসেবে রাস্ত সিসি ঢালাই এর উদ্ধোবন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা কাউন্সিলর মেহেরুল নেচা মেরিসহ পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দ।

কেশবপুরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে উপড়ে পড়া গাছের মিলছে না ক্রর্তা
আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে হাজার হাজার উপড়ে পড়া বিভিন্ন প্রজাপতির গাছ বিত্রিæ করতে পারছে না ত্রেæতার অভাবে গাছ মালিকরা।
উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় আম্পানের এক মান পার হতে গেলেও উপড়ে পড়া গাছ বিক্রি করতে না পারায় চিন্তার ভাজ পড়েছে গাছের মালিকদের কপালে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে শুধু গাছপালা উপড়ে পড়েনি, ঘরবাড়ি ও ফসলের ভ্যাপক ক্ষতি ও হয়েছে। করোনা ভাইরাসের এই দুর্দিনে উপড়ে পড়া গাছ বিক্রি করতে পারলে কিছুটা আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে পেতো গাছের মালিকরা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের করণে থামকে গেছে সবকিছু।কারণ কেশবপুরসহ আশপাশের সকল এলাকার ইটভাটা ও হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকায় গছের জ্বালানী প্রয়োজন হচ্ছে না। এছাড়া এ সময়ে আসবাবপত্র তৈরি কম হওয়ায় লগকাঠের কদর ও কমেছে।করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাঠ সরেজমিনে কেশবপুর উপজেলা মধ্যকুল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কামাল সরদার,মোশারফ হোসেন, রজব বিশ্বাস, ইনতাজ আলীর ঝাড়ে উপড়ে পড়া গাছ তাদের জমিতে এখনো ওই অবস্থায় ফেলানো আছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, গাছের ক্রেতারা আসলেও তেমন আগ্রহ না নামমাত্র দামাদামি করে চলে যান। এখনো বিক্রি করতে না পারায় গাছের ডালপালা শুকাতে শুরু করেছে। একই গ্রামের আব্দুল রহিম,নিছার আলী,আব্দুল কাদের, শামছুর রহমান সহ আরও অনেকের উপড়ে পড়া গাছ স্বল্প দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যাপারে আব্দুল রহিম জানান,ঝড়ে উপড়ে পড়া তার ছোট বড় ১৭ টি গাছ ৩ দফায় ৪ জনের কাছে বিক্রি করেন। শামছুর রহমান ২৫ বছর আগে লাগানো একটি শিশু রেইনট্রি) গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়েছিল। গাছটির করণে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। কাঠ ব্যবসায়ী জসীম উদ্দিন জানান, কেশবপুর থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গাড়ি জ¦ালানী ও রগকাঠ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হতো। তবে করোনার কারণে বর্তমানে ইট ভাটা ও হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকায় জ্বালানী কাঠ লাগছে না। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যনÍ আমরা কাঠের কেনা বেচাও করতে পারছি না।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION