আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
শিরোনামঃ
সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে ঘুর্নিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন সাড়ে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে বিতরণ করা হয়েছে। সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার আজমল হোসেনের উপস্থিতিতে সাগরদাঁড়ী ইউনিয়নে ঘুর্নিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন সাড়ে ৬ শত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরদাঁড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক, ইউপি সদস্য আব্দুস সবুর, কাজী মহব্বত হোসেন, মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
শিরোনামঃ
কেশবপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও সদর ইউনিয়ন রেড জোন ঘোষণা
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষে যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন কেশবপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও কেশবপুর সদর ইউনিয়ন রেড জোন চিহ্নিত করেছেন। ডাক্তার শেখ আবু শাহীন স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুন ল্যাবরেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত তালিকা অনুযায়ী যশোর জেলায় নতুন ইয়ালো ও রেড জোন চিহ্নিত করা হলো। পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য ইয়ালো ও রেড জোন অপরিবর্তিত থাকবে। এর আগে ১৫ জুন (সোমবার) সকালে যশোরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এক জরুরি সভায় কেশবপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর ও ভোগতি নরেন্দ্রপুর (পূর্বাংশ) এলাকা রেড জোনের আওতায় আনা হয় এবং শুক্রবার বিকেল থেকে লকডাউন কার্যকর করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শিরোনামঃ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রথিতযশা সাংবাদিক ও সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কামাল লোহানীর মৃত্যবরণ করেছে। তার মৃত্যুতে
শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেশবপুর সন্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডাক্তার গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল দে, কেশবপুর চারুপীঠ আর্ট স্কুলের সভাপতি মদন সাহা অপু, সহ সভাপতি লেখক তাপস মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সালাউদ্দীন,কেশবপুর উদীচীর সভাপতি অনুপম মোদক,সাধারণ সম্পাদক নিমাই চাদ নন্দন, মধুসূদন সংগীতালয়ের পরিচালক অলোক বসু বাপী, রবীন্দ্র-নজরুল সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক মাহবুবুর রহমান টুলু, যুগ্ম সম্পাদক রতন সাহা, সারেগামা সংগীত একাডেমীর পরিচালক স্বপন দে প্রমূখ।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে বিদ্যুৎ স্পষ্টে দগ্ধ রং মিস্ত্রি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে
কেশবপুরে হামিদুল ইসলাম নামে এক রং মিস্ত্রি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। অর্থবভাবে সে ঠিকমত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেনা। তার স্বর্বস্ব বিক্রি করেও চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তার ভাল হতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। যদি সময়মত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে তার মৃত্যুর আশংকা রয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার বাগদা গ্রামের ইনছান সরদারের ছেলে রঙ মিস্ত্রী হামিদুল ইসলাম(৪০) শহরের মহিলা ফাজিল মাদ্রাসায় রঙের কাজ করতে গিয়ে ছাদের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের মেইন তারে জড়িয়ে দগ্ধ হলে তার সমস্ত শরীর ঝলেসে যায়। বর্তমান সে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তার অবস্থ্যা আশংকাজনক।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে মুখে মাস্ক না দেওয়ায় ১১ ব্যক্তির অর্থদন্ড
কেশবপুরে মুখে মাস্ক না দেওয়ায় ১১ ব্যক্তিকে অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনকালে কেশবপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর ক্ষমতাবলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই অর্থদন্ড প্রদান করেন।
অর্থদন্ড প্রাপ্তরা হলেন,বায়সা গ্রামের ইসহাক আলীর পূত্র মোরশেদ আলমকে ৫শ, সাবদিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে শহিদুল ইসলামকে ৫শ, হাসানপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে লুৎফর রহমানকে ৫শ,মাদারডাঙ্গা গ্রামের সুনিল সরকারের ছেলে প্রভাত সরকারকে ৫শ, সাতবাড়িয়া গ্রামের কওছার আলীর ছেলে আলী হোসেনকে ৫শ, ব্রম্মকাটি গ্রামের নজরুল ইসলামে ছেলে শরিফুল ইসলামকে ৫শ, কেশবপুরের গোবিন্দ দত্তের ছেলে প্রদীপ দত্তকে ৫শ, মির্জানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইমরান হোসেনকে ৫শ ও মুলগ্রামের পরিতোষের ছেলে অসীত ৫শ এছাড়া সরকার নির্ধারিত সময়ের পরও দোকান খুলে রাখায় মধ্যকুল গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে জসিম উদ্দীনকে ৫শ ও একই গ্রামের বক্স সরদারের ছেলে মোসলেম উদ্দীনকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন।
শিরোনামঃ
মহামারি রুপ নেওয়ার আশংকা!
কেশবপুরে দারোগা-পুলিশ,স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৩ দিনে ৯ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত
কেশবপুরে কোনভাবেই ধামানো যাচ্ছেনা করেনার বিস্তার, মহামারি আকার ধারন করার আশংকা করছেন সচেতনমহল। দারোগা-পুলিশ,স্বাস্থ্যকর্মী সহ গত ৩ দিনে ৯ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শনাক্তের আগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবাদ চলাফেরা ও মেলামেলার পূর্ন তথ্য বের করা খুব কঠিন কাজ, তাই অতি অল্প সময়ের মধ্যে কেশবপুর উপজেলাব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীতে রুপ নিতে পারে। কেশবপুরে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করার আগেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্ষে আসা ব্যক্তিদের দ্রæত চিহ্নিত করে তাদেরকে পরিক্ষা-নিরিক্ষা ও করোন্টাইনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন করোনা আতংক কেশবপুরবাসী। বিশেষ করে পুলিশ অফিসার ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রানের খবরে কেশবপুরবাসীর মনে করোনা আতংক বিরাজ করছে। একজন স্বা¯্য’্যকর্মী ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কর্তব্যের খাতিরে তাদের উধ্বার্তন কর্মকর্তাসহ মানুষের সেবায় বিভিন্ন এলাকায় অবাদ বিচারন এবং সংস্পর্ষে যেতে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিরা অজ্ঞাত কারনে তাদের গতি-বিধির ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনেক কিছু গোপন রাখতে বাধ্য হয়। এটিও করোনা বৃদ্ধির একটি কারন হতে পারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো নমুনা পরিক্ষায় গত শনিবার কেশবপুর থানার একজন এবং শহরের একই পরিবারের ৩সহ মোট ৪ ব্যক্তির শরীরে করোনায় পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, কেশবপুর থানার কনেস্টেবল আলমগীর হোসেন, শহরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জ্যেতি প্রসাদ(৩০),তার স্ত্রী মিঠাই তরফদার ও ননদ পুঁজা(২১)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেশবপুর থানার এ.এস.আই তরিকুল, শহরের ১নং ওয়ার্ড সাহাপাড়ার তুষার ও ত্রিমোহিনী গ্রামের গৃহবধু জুলেখা এবং বুধবার মির্জানগর কমিউনিটি ক্লিনিকের সাবিনা ইয়াসমিন ও সাতবাড়িয়া গ্রামের স্বাস্থ্য সহকারীর স্বামী আব্দুল মান্নানের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশাসনের সহযোতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সকলের বাড়ী লকডাউন ও আইশ্লোসনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
শিরোনামঃ
কেশবপুরে প্রতিবন্ধী স্কুলে চাকুরী দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
কেশবপুর মজিদপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে সাইনবোর্ড টানিয়ে শিক্ষক নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেশবপুর উপজেলা নিবাহী কর্মকর্র্তা বরাবর দেওয়া অভিযোগে জানা গেছে,২০১৮ সালে সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রধান শিক্ষক পরিচয়ে হাসানপুর গ্রামের আব্দুল রশিদ বিশ্বাসের ছেলে কামরুজ্জামান প্রতাপপুর গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম মুকুলের স্ত্রী রেখা খাতুনকে আয়া পদে চাকুরী দেওয়ার নামে ৪ লাখ টাকার চুক্তিতে এক কালীর ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও নির্মাণ কাজের জন্য পন্য সামগ্রী হিসাবে সিমেন্টে বালি ও বড দোকান থেকে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ শত টাকার গ্রহণ করে। মানুষকে অগ্রহী করে তুলতে যশোরের স্পন্দন পত্রিকায় ২০ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে একটি নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে। এর পর প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান সাল পরিবর্তন করে ২০১০ সাল দেখিয়ে বিভিন্ন দফতরে কাগজ পত্র প্রেরণ করার কারন জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে রেখা খাতুনকে চাকুরী না দিয়ে এবং নেয়া টাকা ফেরৎ না দিয়ে আতœসাৎ চেষ্টা করে আসছেন। ২০১০ সালে স্কজুলটির প্রতিষ্ঠা সাল উল্লেখ করে ভুয়া নিয়োগ পত্রের কাটিং প্রতম শ্রেনীর গেেজটেড অফিসরের সীল স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ পত্র তৈরী করে সরকারের সাথে প্রতারণা করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষা দফতরে প্রেরণ করেছে। টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে চলেছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর টাকা উদ্ধারের যতাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন মঞ্জুরুল ইসলাম মুকুল। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বিকার করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানের সেল ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।