আবু সাঈদ হেলাল,যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ মানব সভ্যতার ইতিহাস প্রমাণ করেছে যুগে যুগে, দেশে দেশে শিক্ষা মানুষকে সত্যিকার মর্যাদা দিয়েছে, তার জীবনকে করেছে অর্থপূর্ণ।শিক্ষা মানুষের জীবনে যে সমৃদ্ধি আনে তা বহুমাত্রিক। জ্ঞান, দক্ষতা, ও আকাঙ্ক্ষিত জীবন লাভের জন্য সমাজ এবং জাতির জীবনে শিক্ষার প্রয়োজনীতা অনস্বীকার্য। অথচ আজকের দিনেও সমগ্র বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের শিক্ষার জগতে প্রবেশাধিকার নেই।আর তাই সকলের জন্য এই প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত সংগঠন “উন্মুক্ত শিক্ষা”।
সংগঠনটির সদস্যরা মনে করে,আমাদের চারপাশে এমন অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা প্রতিকুলতার মাঝে তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে না। বিপরীতে তারা অনেকে কর্মক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়ে, অনেকে বিপথে গমন করে; এভাবেই নষ্ট হয় তাদের মেধাবী চিন্তাধারা আর স্বপ্ন। তাদের দিকে একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিলে তারাও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
মূলত বেশকিছু ছাত্র-শিক্ষকের প্রচেষ্টায় গঠিত দাতব্য সংস্থা এটি।যশোরের কিছু মেধাবী ছাত্রের হাত ধরে পথ চলা শুরু সংগঠনটির;যেখানে প্রতিপাদ্য বিষয়
“শুধু চাকরির জন্য নয়,
শিক্ষা হোক মানবতার তরে”
সংগঠনটির কার্যক্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো..
১.ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা খুঁজে বের করা।
২. ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সমস্যা উৎঘাটন করে তা সমাধান করা।
৩. বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক ইভেন্টের অায়োজন, শেষের সারির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং অল্পতেই উৎসাহ প্রদান ও পুরষ্কৃত করা।
৪.শিশু শ্রমের ভয়াবহতা নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ(প্রাইমারী স্কুল পর্যায়ে)।
৫.মাদকাসক্ত ও অমনোযোগীদের বিশেষ কাউন্সিলিং করা এবং পড়ালেখায় মনোযোগী করার জন্য সহায়তা প্রদান।
বর্তমানে সংগঠনটির পরিচালনায় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কর্তব্যরত আছেন।তাদের আশা সংগঠনটি একদিন সকলের কাছে সুশিক্ষা পৌঁছে দিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।