আব্দুল্লাহ আল হাসিব, বিশেষ প্রতিনিধিঃ সরকারি আমলাদের জন্য প্রতিবেদন তৈরী করা কারাে চোখে বেমানান মনে হলেও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালাে হয়, তখন কলম লেখা যেতেই পারে।
কথা বলছিলাম প্রজাতন্ত্রের এক কর্মকর্তার ব্যাপারে। তিনি আর কেউ নন মণিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সদ্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খুলনা হিসেবে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী।
তিনি অদ্য সময়ের মধ্যে জয় করে নিয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বাসীর মন।
করোনা কালীন সময়েও ছুটে বেড়াচ্ছেন রাস্তা-ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ধরতে। কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছে তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। করোনা কালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে ত্রান ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে দাড়িয়েছেন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে।
কাক ডাকা ভােরে আর গভীর রাতই কি, সর্বদা ছুটে বেড়ান মণিরামপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভায়। সব যেন তার নখদর্পণে। ক্লান্তিবােধ হয়তাে তাড়া করেনা তাকে বৈশ্বিক এই মহামারি কালেও বসে নেই তিনি, সেবার দুই হাত নিয়ে ছুটছেন তার সারা কর্মস্থল। শুধু তাই নয় মহামারির কবলে পড়া করোনা রোগীর কাছে গিয়েছেন সেবার দুই হাত নিয়ে ।
যেখানে অনেক সরকারি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দিনের পর দিন। মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে ছুটে চলছেন দিকবিদিক। মানবিক এই কর্মকর্তার স্বভাব-শুলভ যেমন মানবিক, তার বিচার প্রক্রিয়া তেমনই কঠিন। মাদকের করালগ্রাসে হতাশাগ্রস্ত মণিরামপুর উপজেলা বাসিকে দিয়েছেন একমুঠো শান্তির পশলা। কোথায় মাদক সেবী, কোথায় মাদক ব্যবসায়ী ধরে এনে কিংবা ছুটে গিয়ে করেছেন বিচার।
করোনা কালে অনেককেই অর্থদণ্ড গুনতে হয়েছে অনিয়মের দরূণ। ইভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্যবিবাহ ছাড় নেই তার। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি নিরব কিংবা অসফল সেখানেই ইউএনও মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফীর সফলতার গল্প রচিত।
অল্প সময়ের মধ্যে পাল্টে দিয়েছেন উপজেলা চত্বরের দৃশ্য। তিনি মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের বিপদে আপদে মানুষের পাশে ছিলেন। দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযােগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। খবরের কাগজ বা সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে কোনাে অসহায় মানুষের খবর আসলে ছুটে গিয়েছেন।
প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে অনেকের পাশে থেকেছেন। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযােগিতা করে লেখাপড়া করার সুযােগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন । এসব কল্যানকর কাজের জন্য সংবাদপত্রের শিরোনামেও উঠেছেন বহুবার।