আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে জবরদখলে থাকা খতিয়াখালী বিলে পোনা মাছ অবমুক্তকরণের মাধ্যমে জবরদখলে থাকা মৎস্যঘের দখলমুক্ত করল জমির মালিকরা।
জানাগেছে, উপজেলার খতিয়াখালী খালপাড়ের ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরটি ৫ বছর মেয়াদ চুক্তিতে ঘের ব্যাবসায়ী আলীমুজ্জামান আসাদ লীজ নেয়।
লিজের মেয়াদ গত ৩০ জৈষ্ঠ শেষ হলেও ঘের মালিক আসাদ চুক্তি অনুযায়ি জমির মালিকদের গত বছরের কোন প্রকার হারীর টাকা প্রদান করেন নাই। এমনকি উক্ত ঘেরে বোরো ধানের আবাদ করতে গেলেও ঘের মালিক ঘেরে পানি তুলে এবং মাছ ছেড়ে ফসলের ক্ষতি সাধন করেছে। ঘের মালিকের চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় তার উপর জমির মালিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। এব্যাপারে ঐ ঘেরের সাড়ে ৫ বিঘা জমির মালিক আব্দুস সাত্তার মোড়ল জানান, মূলত ঘেরটি আমি প্রথমে লীজ গ্রহণ করি।
পরবর্তীতে বিঘা প্রতি ১১ হাজার টাকা চুক্তিতে আসাদ ঘেরটি লীজ নেয়। গত বছর আসাদ আমার সাড়ে ৫ বিঘা জমির হারির টাকা দেয়নি এবং ধান চাষ করারও সূযোগ দেয়নি। যে কারণে আমরা আসাদকে বাদ দিয়ে সুভাষ দত্তকে আগামী ৫ বছরের জন্য বিঘাপ্রতি ১৬ হাজার টাকা ও খাল ভেড়ী ৩৬ হাজার টাকা করে লীজ প্রদান করেছি। ঘের মালিক সুভাষ দত্ত আমাদেরকে আগামী ১ বছরের হারির টাকা প্রদান করেছে। ঐ ঘেরের মোট ৫৩ জন জমির মালিকদের মধ্যে আমরা ৪৭ জন সুভাষ দত্তকে ডিট করে দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত জমির মালিকরা আসাদের বিরুদ্ধে একই বক্তব্য প্রদান করে। অপর এক জমির মালিক আজিজুর রহমান জানান, ঘের মালিক আসাদ আমাদের হারীর টাকা না দিয়ে তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা আমাদের উপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে। এমনকি গত ঈদের ২ দিন পরেও আমার উপর তার ঐ বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। মারতœক আহতাবস্থায় আমি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ভর্তি ছিলাম। যার কারণে আমরা আসাদকে আর ঘের না দিয়ে হারির টাকা বেশি দেওয়ায় সুভাষ দত্তকে আগামী ৫ বছরের জন্য লীজ দিয়েছি। বুধবার সুভাষ দত্তের পক্ষে পোনা মাছ অবমুক্তকরণের মাধ্যমে জমির মালিকরা আসাদের জবর দখলে থাকা ঘেরটি দখলমুক্ত করেছে। এদিকে বর্তমান ঘের মালিক সুভাষ দত্ত জানান, ঘেরের জমির মালিকরা আমাকে আগামী ৫ বছরের জন্য লিজ প্রদান করলেও আসাদ বাহিনীর হামলার ভয়ে তারা নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে ঘের ব্যবসায়ী আসাদ সাংবাদিকদের জানান, আমার কোন বাহিনী নাই এবং হারির টাকা দেয়নি এটা সত্য নয়।