এম. হাসান রিয়াদ-হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ করোনার করাল গ্রাসে জনজীবন হয়ে আছে স্থবির। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল করা হচ্ছে লক ডাউন। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ সবাইকেই থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দি। তাই বলে থেমে নেই ছেলে মেয়েদের উড়বার স্বপ্ন দেখা কারণ স্বপ্ন তো আর কোন শাসন বারণ মানেনা!
এমনি একটা ছেলে শিবলী আকবর শুভ, জন্ম ২৭ আগস্ট ১৯৯৮, চট্টগ্রামে। পিতা মো.শাহজাহান মিয়ার চাকুরীর খাতিরে তার স্থায়ী নিবাস নেত্রকোনা জেলায় হওয়া স্বত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই থাকতে হয়েছে চট্টগ্রামে শহরে। শুভ খাজা আজমেরী প্রাইমারী ও হাই স্কুল, আগ্রাবাদ থেকে তার স্কুল জীবন শেষ করে সরকারী কমার্স কলেজ চট্টগ্রাম এ ভর্তি হয়। বর্তমানে হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে অধ্যায়ন রত আছে।
দেশের এই দূর্যোগকালীন মুহুর্তে ঘরে বসে সময় কাটানোর জন্য শুরু করে ছবি আঁকা। তার সময় কাটানোর জন্য আঁকা ছবিগুলো যেন কথা বলে! একেকটা ছবি একেকটা গল্পের পসরা সাজিয়ে বসে আছে।
ছবিতেই যেন তার অব্যক্ত অনুভূতির প্রকাশ ঘটছে একেরপর এক। প্রতিটি মানুষ যখন করোন প্রাদূর্ভাব থেকে মুক্তি খুঁজছে, ফিরতে চাইছে স্বাভাবিক জীবনে, শুভ তেমনি মুক্তির ব্যর্থ প্রয়াসের কথারাশির প্রকাশ ঘটিয়েছে তার অঙ্কনে।
ছবি আঁকার শুরুতে সে সাতপাঁচ না ভেবেই নেমে পড়েছিল কিন্তু পরবর্তিতে তার আঁকা ছবি অন্যান্য তরুণদের ভিতর উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলেছে।
হাজারও কথার সুললিল প্রকাশ একটা ছবির মাধ্যমে এতো নিপূণভাবে করা যায় তা এই মনের মাধূরী মিশিয়ে তৈরী শিল্পকর্মগুলো না দেখলে কখনো বোঝার উপায় ছিলনা।