আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর,লুটপাট,শ্লীলতাহানী ও গর্ভবতি একটি ছাগলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ফতেমা বেগম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর পৌর শহরের ভোগতি-নরেদ্রপুর গ্রামের মাঠ পড়ার এনতেখাবুল আলমের সাথে প্রতিবেশী আঃ রহিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে রহিমের ছেলে আরিফ ও হাফিজুরের নেতেৃত্বে ২৫/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী এনতেখাবুল আলমের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ী ভাংচুর, লুটপাট ও শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় তাদের হামলায় কলেজ ছাত্রীসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত ও একটি ছাগল মারা যায়।
হামলায় আহরা হলো- এনতেখাবুল আলম (৬০),স্ত্রী হাসিনা বেগম(৫৫), ভাই তরিকুল(৪৫) ও ভাবি ফতেমা বেগম(৫০)। এসময় ফতেমা বেগমের কলেজ পড়–য়া দু-মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন (১৮) ও সুরমা ইয়াসমিন(১৫) কে তারা টানাটানিসহ শ্লীলতাহানী করে।তাছাড়া সন্ত্রাসীরা ফতেমার গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য প্রায় ৫৮ হাজার টাকা এবং ঘরের দরজা-জানালাসহ ঘরের বিভিন্ন আসবাবপাত্র ভাংচুর করে,যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
এছাড়া তার ১০ হাজার টাকা দামের একটি গর্ভবতি ছাগলকে তারা পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ফতেমা বেগম বাদী হয়ে আরিফ, হাফিজুর, রাব্বি,সবুজ গাজীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনের নামে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছে। এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দীন জানান, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।