1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

যশোরে শার্শা উপজেলায় করোনায় হালখাতা ও এনজিও কর্মীদের আর্থিক চাপে দিশেহারা খেটে খাওয়া মানুষ

  • প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০
  • ৭২ বার সংবাদটি পাঠিত

আসাদুর রহমান শার্শা প্রতিনিধি :  যশোরের শার্শা উপজেলায় মহামারী করোনা ভাইরাসের আর্বিরভাবের মধ্যে মানুষ যখন জীবন মৃত্যুর সম্মুখে তখন এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় ও হালখাতার আর্থিক সঙ্কটে সাধারন ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

সীমিত পরিসরে কর্মসংস্থান চলতে না চলতেই এনজিও’র কর্মীরা বাড়ীতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছেন এবং কিস্তির টাকা দিতে না পারলে চাপ দিচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন খেটে খাওয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ।খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবে ও লকডাউনের কারণে মানুষ কর্মহীন পয়ে পড়ে। তারপরও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করেছে এনজিও গুলো কিস্তি আদায় কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা শুরু করেছে হালখাতার প্রতিযোগিতা। ঘরে ঘরে চলছে হালখাতা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য রয়েছে এক চাপ। জুনের মধ্যেই বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা মহামারী শুরুর পর এমনিতেই উপার্জন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তার ওপর এনজিও’র কিস্তি তাদের কাছে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।অনেকের অভিযোগ, কখনও মোবাইল ফোনে, কখনও বাড়িতে গিয়ে কিস্তি পরিশোধের জন্য গ্রাহককে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকী দিচ্ছেন এনজিওগুলোর মাঠকর্মীরা। সুদের হার বৃদ্ধি পাবে মর্মে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন এনজিও গুলো। ফলে নিরুপায় হয়েই ধার দেনা করে অতিকষ্টে এনজিও’র কিস্তি দিতে হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের।

এরপরও কিছু সংখ্যা সদস্য সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে না পারলেও দু-একদিন পরই কিস্তি আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ইজিবাইক চালক, ভ্যান চালক, ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালকরা ঠিকমত যাত্রী পাচ্ছেন না।লক ডাউনে বাজারেও জনসমাগম কম। ছোট খাট দোকানীদের বিক্রয় সীমিত ভাবে চলছে। অনেকে দিন মজুরদের ঠিক মত কাজ হচ্ছে না।কিন্তু এ অঞ্চলে করোনা আতংকিত হয়ে মানুষের পিছু ছাড়ছে না বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীরা। কর্মীদের নেই কোন করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মীরা বাড়িতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছেন।

দিনআনা দিন খাওয়া শ্রমিক রফিক গাজী ও বাইক চালক নজরুল বলেন, করোনার কারণে কাজ কাম নাই বল্লেই হয়। তারপরও এখন কিস্তির চাপ আবার চলছে হালখাতা। সংসার চালাতে হিমসীম খেতে হচ্ছে তারপরও এ সব চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।কি করবো এ অবস্থায় ভেবে ভেবে রোগগ্রস্থ হয়ে পড়ছি।

মুদি দোকানী মাসুম বলেন, মহাজনদের দোকানে বাকী থাকার কারণে এখন হালখাতা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ কারণে হালখাতা দিতে বাধ্য হচ্ছি।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION