এম. হাসান রিয়াদ-নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে তাদের মৌলিক অধিকার গুলো বুঝিয়ে দিয়ে রূপকথার গল্পের সেই প্রদীপের দৈত্যের মত তাদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ahc-arise help for child foundation, Bangladesh. হতদরিদ্র শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার আলো দেখাতে দেশের প্রতিটা জেলাতেই ইউনিট খোলার স্বীদ্ধান্ত নেয় সংগঠণটি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য জেলার মত যশোরেও কাজ শুরু করে AHC Bangladesh এর একটা ইউনিট। গত ১৮ মে যশোর ইউনিটের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দ্বায়িত্ব পান ফারহানা আফরোজা সোনিয়া এবং ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন তাহসিন মিতি।
করোনা প্রাদূর্ভাবকালীন সময়ে অর্গানাইজেশনটির প্রায় সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমেই চলছিল।সদ্য প্রতিষ্ঠিত ইউনিট যশোর ইউনিটে চলছে ভলান্টিয়ার নিবন্ধন এর কাজ।
ইউনিটটির প্রত্যেকটা সদস্যই তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে তাদের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটরের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্বক সেবা নিয়ে কাজ করে চলেছে।
যশোর ইউনিটটির সকলের ভলিন্টিয়ারিং এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও সকলের লক্ষ্য ছিল একই। সমাজের নিগৃহীত, বঞ্চিত, হতভাগ্য শিশুদের জন্য কোনো কিছু করা। এ যেন একই সূতোয় বাঁধা স্বপ্নের দিকে ক্রমেই ছুঁটে চলা, পথ অচেনা তবু গন্তব্য এক। এরই লক্ষ্য নিয়ে গত ২৯ রমজানে মাত্র একদিনের মধ্যে একটি প্রজেক্ট প্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করার জন্যে পাগলের মতো পরিশ্রম করে তারা।
তাদের লক্ষ্য ছিল যশোর জেলার ১০টি পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে সেমাই, চিনি, ভোজ্য তেল, চাউলসহ অন্যান্য উপকরন পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় তাদের তীব্র ইচ্ছা স্বত্ত্বেও ৭ টি পরিবারে মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়। তাদের কাছে পৌঁছে দেয় ঈদ উপহার সামগ্রী। ahc-arise help for child foundation টির সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই যশোর ইউনিটটি প্রমাণ করে দিল স্বেচ্ছাসেবা করার তীব্র মানসিকতা থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করে সফলতা পাওয়া সম্ভব।
কোন সংগঠন নয় বরং সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন তীব্র মানসিক শক্তি আর অন্যায়কে ভয় না পাওয়ার দৃঢ়তা, যা ahc-arise help for child foundation, Bangladesh এর প্রতিটি ইউনিটের প্রতিটি ভলান্টিয়ারের আছে। স্বেচ্ছাসেবী এই অর্গানাইজেশনটি তরুণ প্রজন্মের জন্য মডেল হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে।