স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ভিকটিক স্কুল ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। এঘটনায় আসামি শুকুর আলী শান্তকে (২০) কোতয়ালি পুলিশ আটক করেছে।
ভিকটিমের ভাই নয়ন মোল্লা সোমবার কোতয়ালি থানায় মামলা করার পর পুলিশ শান্তকে আটক করে। আটক শান্ত সদর উপজেলার হামিপুর গ্রামের রাজু আহম্মেদ পান্নার ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার এস আই নুরজাহান জানান, অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার হাজির করা হলে ভিকটিক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে আসামি শান্তকে আটক করা হয়। একই দিন রাত আটটায় ভিকটিমের ভাই যশোর সদরের সীতারামপুর গ্রামের মোক্তার মোল্লার ছেলে নয়ন মোল্লা, শান্তর নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় একজনকে আসামি করা হয়।
জবানবন্দিতে ভিকটিম জানান, আসামি রাজু আহম্মেদ পান্না স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমাকে উক্তত্ত করতো। বিষয়টি আমি আমার অভিভাককে জানায়। আমার অভিভাবক আসামির অীভভাবককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তারপরও আসামি শান্ত আমাকে উক্তত্ত করতে থাকে। গত ১৪ জুন সকালে আমি আমার খালাতো বোন সাথির সাথে টিটি টিকা নেয়ার জন্য হামিদপুর সরকারি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। ফিরে আসার সময় হামিদপুর মাঠ মিজানের বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের উপর পৌছুলে আসামি শান্ত ভিকটিমের পথ রোধ করে অশ্লীল কথা বার্তা বলে ও শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। প্রতিবাদ করলে শান্ত রাগান্বিত হয়ে ভিকটিমকে মারপিট করে জখম করে। খালাতো বোন সাথি ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে জখম করা হয়। একপর্যায়ে ভিকটিমের ভ্যানিটি ব্যাগ কেড়ে নিযে আসামি ব্যাগে থাকা টাকা মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়। ভিকটিম ও খালাতো বোন সাথির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে আসামি শান্ত চলে যায়।