আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে থানা প্রাঙ্গণের মেহগনি ও নারকেল গাছে দীর্ঘদিন ধরে বাস করে আসছে কয়েক ঝাঁক বক ও বিরল প্রকৃতির পানকৌড়ি। থানা প্রাঙ্গণের পাশে মধু সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী মানুষেরাসহ থানার স্টাফরাও এগুলো দেখে অভ্যস্ত। কালের বিবর্তনে প্রকৃতির নিষ্ঠুর ও বিরূপ আচার-আচরণে, মানুষের অত্যাচার-অনাচারে হারিয়ে যেতে বসা বক ও পানকৌড়ি পাখিদের কিছুই বলে না তারা। তাইতো থানা প্রাঙ্গণের ওই সকল গাছগুলো পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কেশবপুর থানা প্রাঙ্গণের মধ্যে বড় আকৃতির ৮/১০টি মেহগনি গাছের মগডালে ও নারকেল গাছে বাসা বেঁধে অবস্থান করছে পানকৌড়ি এবং বক। এখানে বাসা বেঁধে ডিম পেড়ে বাচ্চাও ফুটাচ্ছে এসব পাখিরা। থানা প্রাঙ্গণের পুকুর, একটু অদূরে বয়ে চলা হরিহর নদ ও জলাশয় থাকায় সেখানকার মাছ খেয়েই ফিরে আসে নীড়ে। লম্বায় পানকৌড়ি সাধারণত ৫১ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। গা, বুক উজ্জ্বল কালো। গলায় সাদা একটি দাগ আছে, পাখার নিচের পালক ধূসর রঙ। লেজ কুলার মতো। ঠোঁট সরু আর প্রান্তভাগ বাঁকানো। পা দুটি খাটো। তবে হাঁসের পায়ের মতো পানকৌড়ির পা। চোখ সবুজাভ বাদামি। মাথায় ঝুঁটির মতো পালকও আছে।
থানার পূর্ব পাশের ৪ তলা ভবনের এক গৃহবধূ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে বক ও পানকৌড়ি পাখির থানা প্রাঙ্গণের গাছে কয়েক বছর বসবাস করতে দেখে আসছি। প্রতিদিন সকালে তারা চলে যায় ঝাঁক ধরে খাদ্যের সন্ধানে, ফিরে সন্ধ্যায়। এসকল দৃশ্য ছাদে বসেই উপভোগ করি।