আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় ৩ মাছ আড়ৎ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করাসহ টাকা না দিয়ে হয়রাণী করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে ছিল। বাকি অহত ব্যক্তি স্থানীয় চিকিৎসা নিয়ে ছিলেন।
এঘটনায় মাছ আড়ৎ ব্যবসায়ী দিপংকর মন্ডল বাদি হয়ে গত ৩ জুন বুধবার ৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার কাটাখালী বাজারে মাছ আড়ৎ ব্যবসায়ীরা উপজেলার আড়–য়া গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সেলিম মোল্লা মাছ আড়ৎ এর ব্যবসা করার সময় ওই বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ীরা তার নিকট প্রায় ১৭ লাখ টাকা পাওনা ছিল। বাজারের আড়ৎ মাছ ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের জানান,সেলিমের কাছে আমরা পাওনা টাকা চাইলে সে টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। আমরা পাওনা টাকা আদায় করার জন্য কাটাখালী বাজারের মাছ আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি রানা প্রতাপ বৈরাগীর নিকট মৌখিকভাবে জানানো হয়। এইর জের ধরে গত ৩ জুন বুধবার বিকালে আড়–য়া গ্রামের গৌরহরি মন্ডলের ছেলে মাছ আড়ৎ ব্যবসায়ী দিপংকর মন্ডল কাটাখালী বাজার থেকে বাড়ির ফেরার পথে আড়–য়া গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে সেলিম মোল্লা,সুলতান গাজীর ছেলে আকবর গাজী,চেনি মোল্লার ছেলে হাবিবুর রহমান মোল্লা,শহিদুল ইসলাম ফকিরের ছেলে তুহিন ফকির,রুবেল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন মিলে দিপংকর মন্ডল(৩৮)কে পথরোধ করে লোহার রড়,বাঁশের লাঠি,ধারালো দা দিয়ে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় দিপংকর মন্ডলের আতœচিতকারে মাছ আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি রানা প্রতাপ বৈরাগী(৩৫) ইন্দজিত বৈদ্য (৪৫) ঠেকাতে গেলে তাদেরকে মারপিট করে আহত করে। এ ব্যাপারে সেলিম মোল্লার কাছে সরাসরি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমার নিকট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তারা পাবে।তাদেরকে মারপিট করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ১৭ লাখ টাকা পাওনার ব্যাপারে থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেছে সেটা যড়যন্ত্র মূলক।