আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে মহানন্দ বালা নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য গোপনে মোবাইলে ধারন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ঐ ছাত্রী বখাটের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
সরেজমিন ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ময়নাপুর গ্রামের মৃত বিনয় বালার ছেলে লম্পট মহানন্দ বালা (৩৫) প্রায় সময় কলেজ থেকে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিবেশী বিধান মন্ডলের মেয়েকে উত্তাক্ত ও বিভিন্নভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে সে গত ০৭ জুন রাতে বিধানের বাড়ীর প্রাচীর টপকিয়ে ঐ ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য গোপনে মোবইলে ধারন করে। এসময় ঐ ছাত্রী টের পেয়ে তার মাকে ডাকার আগেই লম্পট মহানন্দ প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার ৩ দির পর মাহানন্দকে তার বাড়ীর সামনে পেয়ে ঐ ছাত্রী ও তার মা উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ করতেই সে ছাত্রীর গলা টিপে ধরে বলে যদি এই ঘটনা কাউকে জানাস তাহলে তোর গোসলের ধান করা ভিডিও নেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া মহানন্দের পরিচয় দিয়ে ঐ ছাত্রীর মোবাইলে এই ঘটনায় কোথাও অভিযোগ না করার জন্য হুমকী প্রদান করা হয়। এরপর ঐ ছাত্রী কোন উপয়ন্তর না পেয়ে গত ১১ জুন ন্যায় বিচারের আসায় বখাটের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার সকালে (১৩ জুন) কেশবপুর থানার তদন্তকারী অফিসার এস.আই নাজমুল তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান। লম্পট মহানন্দের লালসার শিকার ঐ মেয়ে ভবদাহ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। ঐ ছাত্রীর বাবা বিধান মন্ডল বলেন, ইতোপূর্বে মহানন্দ এলাকার অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। লোকলজ্জা ও তার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস পায়না। সে আমার মেয়েকে ব্লাক মেইলের মাধ্যমে ইচ্ছা বিরুদ্ধে সতির্থ নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে গোপনে গোসলের দৃশ্য ধারন করেছে। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই। অভিযুক্ত লম্পট মহানন্দ বালা এর আগেও অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে বলে সরেজমিনে বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্যের মাধ্যমে সেটি উঠে এসেছে । এলাকাবাসী ঐ লম্পটকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্দমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার সত্যতা যাচায় ও বক্তব্য নেওয়ার জন্য সরাসরি এই প্রতিনিধি মহানন্দর বাড়ীতে গেলে তার স্ত্রী বলেন সে বাড়ীতে নেই। ঐ ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য ভিডিও’র কথা বলতেই মহানন্দের স্ত্রী বলেন,তার স্বামীর কোন ভিডিও মোবাইল নেই। তার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য তারা থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে থানার তদন্তকারী অফিসার এস.আই নাজমুল সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক ঘটনার সূত্র ধরে ঐ ছাত্রী মহানন্দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। অভিযোগের সাথে ঘটনার কোন সত্যতা নেই বলে তিনি জানান।