আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
নাড়ির টানে কেশবপুরে সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতায় সাধ্য অনুযায়ী চেষ্ট করে চলেছেন কেশবপুরের কৃতি সন্তান দৈনিক আমাদের সময়ের প্রকাশক বিশিষ্ট আইনজীবি এস.এম বক্স কল্লোল। কেশবপুর উপজেলাকে আধুনিকায়নে রপান্তরিক করতে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর সৈয়দ পরিবারের সন্তান এস.এম বক্স কল্লোল। তার পিতা সৈয়েদ ময়েজ বক্স ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোট বিভাগের ডিপুটি রেজিষ্টার। তিনি লেখাপড়া শেষ করে আইনজীবি পেশায় যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইজীবি হিসেবে কর্মরত আছেন। ঢাকায় থাকলেও তিনি কখনো তার জন্মভুমি কেশবপুরের মা-মাটিকে ভুলতে পারেনি। তিনি সর্বদা কেশবপুরের মানুষকে নিয়ে ভাবেন, কিভাবে কেশবপুরকে একটি আধুনিকায়ন উপজেলায় রপান্তরিত করা যায তা নিয়েই দিন রাত চিন্তাভাবনা করেন। চুকুরীর ফাঁকে-ফাঁকে তিনি তার গ্রাম মির্জানগরসহ আশপাশের মানুষের জন্য রাস্তা ঘাট,বিদ্যুৎ, মির্জানগর নবাববাড়ী হাম্মাম খানা সহ বিভিন্ন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। তার বিশেষ প্রচেষ্টার ফলে কেশবপুরে উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ- ২০০৯ সাল হুইপ আব্দুল ওহাবের আমল হতে এ পর্যন্ত কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজার থেকে গোপালপুর চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত ২ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা পাকাকরন, মির্জানগর আকছেদ আলীর বাড়ী থেকে ময়েজ বক্স এর কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃমিঃ কাঁচা রাস্তা পাকাকরন, সৈয়দ মোমিন বক্স দীঘির মোড় হতে মির্জানগর জব্বার মোল্যার চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিঃ মিঃ কাঁচা রাস্তা পাকাকরন হয়েছে। যার অনুমানিক ব্যয় হয়েছে প্রায় ০৪ কোটি টাকা। মির্জানগরসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় ৮শ পরিবারে বিদ্যুতের মাধ্যমে ঘর আলোকিত করা, বিল বোয়ালিয়া ও সোনাতলা বিলের প্রায় ১৫শ বিঘা জমি প্রভাবশালী ঘের মালিকদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে কৃষি ফসলের উপযোগী করা, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘের মালিকদের দখল হতে সরকারী খাল দখলমুক্ত করা, ঐতিয্যবাহি মির্জানগর জরাজীর্ন নবাববাড়ী হাম্মামখানাটি সংস্কার এবং তৎকালীন আমলের হাম্মামখানার কামান টি যথাস্থানে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক উন্ন্য়ন অব্যাহত রেখেছে। উন্নয়নের বিষয় মির্জানগর গ্রামের মেম্বার জিয়াউর রহমান, ডাক্তার নজরুল ইসলাম খাঁন, মিজানুর রহমান, শাহাপুর গ্রামের লুৎফার রহমান, গোপসেনা গ্রামের আব্দুল কাদেরসহ অনেকে জনান, এস এম বক্স কল্লোলের একান্ত প্রচেষ্টার ফলে আমাদের ঘর এখন আলোকিত, তার জন্যই এখন আমরা জমিতে ফসল ফলাতে পারছি, কাঁচা রাস্তার পরিবর্তে এখন পিচের রাস্তা পেয়েছি। আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি সবসময় কেশবপুরবাসীর মঙ্গল ও উন্নয়ন কামনা করেন। আমরা তার দির্ঘায়ু কামনা করি। এব্যাপারে এস.এম বক্স কল্লোল বলেন, আমি একজন আওয়ামীলীগের কর্মী। আমার দলের সভাপতি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নে বিশ্বাসী। আমার নেত্রীর সহযোগীতায় আমি কেশবপুরবাসীর জন্য নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছি। আমার জীবনের শেষ নিঃশাষ পর্যন্ত আমার জন্মভুমি কেশবপুরের জন্য কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া আমার গ্রামের প্রায় ৩ বিঘা জমি যেটা আমি টাটা আছিয়া মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতাল করার জন্য রেখেছিলাম। সম্প্রতি বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করার কারনে ক্যানসার হাসপাতালের পরিবর্তে কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে দল কোভিড-১৯ এর সাফল্য অর্জন করবে তাদেরকে আহবান করে প্রধান মন্ত্রীর সহযোগীতায় এই জমির উপর কোভিড-১৯ হাসপাতাল করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে দান করা হবে। এবং এখানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হবে।