আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা হন্ডি মহির উদ্দীন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন। মঙ্গলবার বিকালে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুবেল হোসেন, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কেশবপুরের সীমান্তবর্তি চাঁদড়া গ্রামের পাশ্ববর্তি মনিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের এলাই বক্স্রের ছেলে মহির উদ্দীন পেশায় একজন নারী পাচারকারী, হন্ডি ও মাদক চোরাচালাননী এবং মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত।এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ ও বহু বিবাহের হোতা মুসলিমা খাতুন তার একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করে। মহির উদ্দীন প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে মনিরামপুর,কেশবপুর,কলারোয়া,তালা,পাটকেলঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন বয়সের সুন্দরী নারীদের চাকরীর প্রলোভন ও ভাল বেতনের কথা বলে সুকৌশলে দালালের মাধ্যমে ভারতের বোম্বে নিয়ে যায়। এবং সেখানে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের কে দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজ করতে বাধ্য করে। নারী পাচারের পাশাপাশি সে মাদক ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের সাথে কাজ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে অঢের অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী পাচার,সন্ত্রাসী হামলা ও মাদক-চোরাচালান, হন্ডি ব্যবসার অভিযোগ থাকলেও তিনি প্রশানকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে তার অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের বরকতুল্লার মেয়ে রজিনা খাতুন পাচার মামলা, যার মামলা নং- ১০। তারিখ,০৬-০৩-২০০৬, চাঁদড়া গ্রামের গৃহবধু ফেরদৌসি বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে ভাল বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতের বোম্বে নিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে গত ০১-০৪-২০২০ তারিখ কেশবপুর থানায় একটি নারী পাচারের অভিযোগ, চাঁদড়া গ্রামের তোফাজ্জেল মোড়লের ছেলে লিটন মোড়লের বসতবাড়ী ভাংচুর-লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগে কেশবপুর থানায় মামলা, যার নং-৬৬।তারিখ,১৪-০৫-২০২০। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কেশবপুর,মনিরামপুর,কলারোয়া থানা এমনকি ভারতেও পাচার, হন্ডি, মাদক-চোরাচালানের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বহু অপকর্মের হোতা কুখ্যাত মহির উদ্দীনের অন্যায়-আত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে তার সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ ও বহু বিবাহের হোতা দেহ ব্যবসায়ী ও পাচারকারিনী মুসলিমা খাতুনকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক সংশ্লিষ্ট থানা ও আদালতে মিথ্যা মামলা, হয়রানীমূলক অভিযোগসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন অব্যাহত রেখেছে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নারী পাচারকারী মহির উদ্দীন ও তার সহযোগীদের সকল অপরাধ কর্মকান্ডের মুখোঁস পত্রিকার মাধ্যমে জনগনের কাছে উন্মোচন করার জন্য কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করছি এবং পাশাপাশি তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, তোফাজ্জেল মোড়ল,বাবুল মোড়ল,আলমগীর মোড়ল,মোর্শারফ মোড়র ও বদর উদ্দীন।