এম. হাসান রিয়াদ- হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলায় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম অবস্থা অল্প কিছু শিক্ষার্থী আর শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত পাঠদানের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। তারপর বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে স্কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। পরবর্তিতে এসএসসি পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২০১৫ সালে আরও একধাপ এগিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ‘নির্বাসখোলা স্কুল এন্ড কলেজ’ নাম নিয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনির কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৭ শতাধিক ছাত্রছাত্রী এবং ৩৮ জন টিচারস্টাফ নিয়ে তাদের পাঠদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গেল কয়েক বছরে কলেজের ফলাফল হয়েছে দৃষ্টি কাড়ার মত।
কিন্তু গত ২০ মে সর্বনাশা ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয় প্রতিষ্ঠানের টিন শেডের ভবনটি। টিনের চালা উড়ে গিয়ে ভবনটির এখন খুবই নাজুক অবস্থা, শুধু তাই নয় ঝড়ের তাণ্ডবে ভবনের দেয়াল পর্যন্তও ভেঙেচুরে এক ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
এই টিনশেডের ভবনে ৫ টি শ্রেনিকক্ষ, একটা বিজ্ঞানাগার রয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে বিজ্ঞানাগারে সমূদয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও কলেজের সমৃদ্ধ লাইব্রেরীর উপর গাছে ভেঙে পড়ায় লাইব্রেরীর অর্ধেকটা বইয়ের তাক ভেঙে প্রায় ৭০ শতাশত বই নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে। কিন্তু আজ আম্পানের ২১ তম দিন পেরিয়ে গেলেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে সংষ্কারের কোন ব্যবস্থা করতে পারছেন না।এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক জানান আর্থিক সংকটের কারণে কতৃপক্ষে সংষ্কারের কাজ করতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে সংষ্কারের কাজে ব্যয় করার মত বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান নেই।
এব্যাপারে উপর মহল এখনো কোন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে এখনো জানা যায়নি।