আজিজুর রহমানঃ কেশবপুর পৌর শহরের আলতপোল এলাকায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইয়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে একটি কুচক্রী মহলের সহায়তায় বড় ভাইকে মারপিট ও তার বসত বাড়ির প্রাচীর ভাংচুর করা হয়েছে যা নিয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বড় ভাই আলমগীর কবীর। শনিবার সকালে আলতাপোল এলাকার মৃত রওশন আলী বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর কবীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর বাজারে মাছের আড়তের ব্যবসা করে আসছেন। তার ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ চোরাই পথে মালয়েশিয়া যেয়ে কম বেতন পাওয়ায় দেশে বসবাসকারী স্ত্রী ও সন্তান সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়াকালীন মাতা রাশিদা বেগম ও বোন জেসমিন বেগমের অনুরোধে তিনি ছোট ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার মাছের আড়তে একত্রে ব্যবসা করতে থাকেন। এসময় ছোট ভাই ২৬ হাজার টাকা ও বাড়ির তৈরিতে খরচ বাবদ ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা এবং ভাগ্নে আল আমিনের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে মোট ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা প্রদান করে ব্যাবসায়িক পার্টনার হিসেবে ব্যবসা শুরু করেন।
একসাথে ব্যবসা করার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে ব্যবসায়ীক হিসাবে ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ ৯ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা পেতে যায়। ওই টাকার মধ্যে একটি চেকের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে বাকি টাকার জন্য প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা লভ্যাংশ ও মাছের কয়েলদারী অংশের টাকা নিতে থাকে। কয়েকমাস এভাবে টাকা নেয়ার পর গত ০৫ মে আবুল কালাম আজাদ তার বড় ভাইয়ের মাছের আড়তে ( জননী ফিস) এসে পুনরায় ব্যাবসায়িক হিসাব করতে বলে উত্তেজিত হয়ে আড়তের টেবিল চেয়ার ভাংচুর এবং বড় ভাই আলমগীর কবীরকে মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আবুল কালাম আজাদ পালিয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে আবুল কালাম আজাদ স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের সহায়তায় বড় ভাই আলমগীর কবীরের বাসার নিচতলার একটি ঘর দখলের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরবর্তীতে থানা পুলিশের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংমার জন্য উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বসাবসি করা হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত রবিউল, হান্নান ও কামরুজ্জামানের ইন্ধনে আবুল কালাম আজাদ তার বড় ভাই আলমগীর কবীরকে আবারো মারপিট করে আহত করে। এসময় একদল সন্ত্রাসী আলমগীর কবিরের বসত ঘরের পাচিল ভেঙ্গে দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আলমগীর কবীর। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।