1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই নাটক!

  • প্রকাশের সময় বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ১০৭ বার সংবাদটি পাঠিত

কণ্ঠ ডেস্ক

১৭ জুন সকালে যশোর মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা জামতলা মোড়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় নগদ কোম্পানির ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের যে অভিযোগ করা হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা সাজানো বলে তথ্য মিলতে শুরু করেছে।
নগদ যশোরের শাখা ম্যানেজার রবিউল ইসলাম ও প্রাইভেট ড্রাইভার মোহাম্মদ সাজুর এলোমেলো বক্তব্যে সন্দেহে হলে রাতে রবিউল ইসলামসহ নগদের ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।
শাখার ম্যানেজার রবিউল ইসলামের সকালের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রাইভেটের গতিরোধ করে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসা ৪ দুর্বৃত্ত এই টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সারা দিনের তদন্তে ডিবির চৌকস টিমের হাতে তথ্য পৌঁছায়, ঘটনা উল্টো হতে পারে। কার্যত নগদেও ওই রবিউলসহ আরো কয়েকজন মিলে তাদেরই পরিচিত কয়েকজনকে হেলমেট পরিয়ে ছিনতাই নাটক সাজিয়েছে এমন তথ্য এসেছে। এদিন রাত ৯ টার দিকে ৪ জনকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার রহস্য উন্মোচনের কাজ চলছে।এদিন সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কুয়াদা এলাকায় জোরেসোরে প্রচার হয়, শাখা ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলামের (প্রাইভেটকার নাম্বার ঢাকা মেট্টো গ ১৫৫৯২৩) প্রাইভেটের গতিরোধ করে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। নগদ যশোরের একাউন্টেন্ট কাজী মমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা বুঝে নিয়ে মণিরামপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় জামতলা মোড়ে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসা ৪ দুর্বৃত্ত তার প্রাইভেটের সামনে এসে গ্লাস ভাঙচুর করে এবং রবিউলকে নামিয়ে মারধোর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নগদ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম যশোরের ভাতুড়িয়া হাফেজ পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নগদ যশোর একটি শাখার ব্যবস্থাপক। যশোর শহরের পোস্ট অফিস পাড়ার মোহাম্মদ সাজু ছিলেন ওই প্রাইভেটের ড্রাইভার।
রবিউল ইসলাম ৯৯৯ফোন দিলে পুলিশ আসে। ওই সময় তিনি পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে জানান, তিনি যশোরের নগদের একাউন্ট্যান্ট কাজী মমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ওই ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে মণিরামপুর শাখা সাব অফিসের আবু সাজিদের কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। আর পথিমধ্যে তাদের উপর হামলা হয়েছে। তার উপর আঘাত করা হয়েছে, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
এরপর ওই ঘটনার খবর আরো ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান ও জেলা ডিবির একটি চৌকস টিম। তারা ঘটনাস্থল, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দেখেন। এছাড়া ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম ও ঘটনাস্থল এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে ঘটনাটি পরিস্কার হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে রবিউল ও প্রাইভেট ড্র্াইভার সাজু আহত না হওয়ায় সন্দেহ হয় ছিনতাই ঘটনা নিয়ে।
অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান জানিয়েছেন, ছিনতাই ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন নগদের শাখা ম্যানেজার রবিউল সে বক্তব্য অনেকটাই এলোমেলো। সন্দেহ রয়েছে পুরো ঘটনাটি নিয়ে। যে কারণে অধিকতর তদন্ত চলছে।এদিকে, রাতে তথ্য মিলেছে দিনভর পুলিশ ও ডিবির টিম ওই ঘটনার সত্যতা নিয়ে ব্যাপক খোঁজখবর নেন। ঘটনাস্থল, গাড়ির অবস্থান, নগদের ম্যানেজার আহত না হওয়া, স্থানীয়রা কেউ না দেখা, এমনকি ৫৫ লাখ টাকার খবর ছিনতাইকারীরা জানবে কি করে এসব অ্যাঙ্গেল থেকে খোঁজ নিয়ে ডিবি প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে ঘটনা সাজানো হতে পারে। আর ঘটনায় নগদের লোকজনই জড়িত খাকেতে পারে। এ সন্দেহ থেকে নগদ কর্মকর্তা ও টাকা বহনে সংশ্লিষ্ট নগদের ৪ জনকে রাতে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।
এ ব্যাপারে যশোর ডিবির অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানিয়েছেন, গোয়েন্দা শাখার কয়েকটি টিম ওই ঘটনার তদন্ত করছিল। সকালে সব পরিস্কার না হলে সময় গড়াতেই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে। আর রাতে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি উল্টো হতে পারে। এমনকি যারা ছিনতাই ঘটনা প্রচার করেছিল, তারাই জড়িত থাকতে পারে এমন অ্যাঙ্গেল সামনে এসছে।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION