আব্দুল খালেক,কেশবপুর
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ বলেছেন, মাইকেল মধুসূদন কবি থেকে মহাকবি হয়েছেন। কাব্য থেকে মহাকাব্য লিখেছেন। মাত্র ৪৯ বছরের জীবনে তাঁর সাধনা দেখেন। তিনি লেখাপড়া, সাহিত্য চর্চা, নিজেকে বদলে ফেলার চর্চা, আধুনিকায়নের চর্চা করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাঁর এ দীর্ঘ সাধনা ও অধ্যায়ন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এখানে যারা শিক্ষার্থী আছে তারা মহাকবির জীবন থেকে ওই শিক্ষাটুকু নাও, যে শিক্ষাটুকু নিলে নিজেকে বদলে ফেলতে পারবে। তাহলে উনার মতো স্মরণীয় বরণীয় হতে পারবে। সোমবার সন্ধ্যায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মধুমেলার চতুর্থ দিনে মধুমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসান ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কবি ও কথাসাহিত্যিক তালুকদার লাভলী, দৈনিক লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, যশোরের জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসী ফোরামের সভাপতি অধ্যাপিকা ফিরোজা বুলবুল কলি, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামাল মিন্টু, দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক নুর ইসলাম ও কেশবপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিরাজুল ইসলাম মিরাজ। মধুমেলার চতুর্থ দিনে কপোতাক্ষ নদ পারসহ মেলা মাঠে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। এবার মেলার ভেতর কৃষি মেলা করায় সেখানেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দর্শনার্থীদের মেলার মাঠ ঘুরে পছন্দের জিনিস পত্র ক্রয় করতে দেখা যায়। আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হবে সপ্তাহব্যাপী এ মধুমেলা। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সাগরদাঁড়ি গ্রামের জমিদার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মহাকবি মধুসূদন দত্ত মারা যান।