বাংলাদেশ || ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন

ঝিনাইদহে মোবারকগঞ্জ চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন

শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের ২০২৫-২৬ আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:১০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় আজ মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের ২০২৫-২৬ আখ মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসাবে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্য্যান রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. আব্দুল আলীম খান, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চিফ অব পার্সোনেল শাহরীনা তানাজ, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদ, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আ.ন.ম জোবায়ের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, দেশের ১৫ চিনিকলের মধ্যে ৯টি বর্তমানে চালু আছে। বাকিগুলো আগামিতে চালু করা হবে। কাঁচামালের কোন ঘাটতি হবে না, এর জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে।মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গৌতম কুমার মন্ডল জানান, এবার ডিজিটাল মেশিনে মাপা হবে কৃষকদের আখ। মাপার সাথে সাথেই আখের পরিমাণ ও টাকার পরিমাণ মোবাইল ক্ষুদে বার্তায় কৃষককে জানিয়ে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মিল এলাকায় ৪২টি ডিজিটাল ওজন যন্ত্র স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কৃষকের আখের টাকা পরিশোধ করা হবে।

মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেডে সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাড়াই মৌসুমে কৃষকদের আখের মূল্য ধরা হয়েছে প্রতিমন ২৫০ টাকা। এটি সুগার মিলের ৫৯তম আখ মাড়াই মৌসুম। এ বছর ৫৬ দিনে ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চারহাজার চারশ’ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। চিনি আহরণের আনুমানিক হার ধরা হয়ে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এর আগে বিগত ২০২৪-২৫ মাড়াই মৌসুমে ৫০ দিনে ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে তিনহাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উৎপাদন হয়েছিল তিনহাজার ৮৬৮ মেট্রিক টন।