জাহিদ হাসান
যশোরের শার্শা উপজেলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলা দূরন্ত গতির খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৮৪) আর নেই। শনিবার রাতে শার্শা উপজেলার স্বরূপদাহ গ্রামের নিজ বাসভবনে প্রবীণ এই সংবাদপত্র পরিবেশক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের চিরদিনের জন্য জীবনাবসান ঘটেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ঝড়-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তিনি দীর্ঘ ৪ যুগেরও বেশি সময় ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা হয়ে নাভারন, শার্শা ও বেনাপোলে নিজ দায়িত্বে সংবাদপত্র পৌঁছিয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল মান্নান।
বেনাপোলের সংবাদপত্র সরবরাহের এজেন্ট পারভেজ আলম টিপন তার এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আর কখনো বলবে না, খোকা! কাগজ পেয়েছিস? দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন সকালে মোবাইলে এ কথাটাই শুনেছি। আর কখনো শুনবো না। গতকাল রাতে শার্শার এই প্রবীণ সংবাদপত্র পরিবেশক সিরাজুল ইসলামের জীবনাবসান ঘটেছে। রবিবার বেলা ১১টার সময় স্বরুপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি ৩ কন্যা, ১ পুত্র ও ১ স্ত্রী রেখে গেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দীর্ঘদিনের খবরের ফেরিওয়ালা খ্যাত সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের সাথে সমবেদনা জ্ঞাপণ ও মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পাতা ছিলো দূঃখে ভারাক্রান্ত।
এছাড়া শার্শা উপজেলার সকল প্রান্তের সংবাদপত্র বিক্রেতারা সহকর্মী ও শ্রদ্ধেয় গুরুজন সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের সাথে সমবেদনা ও মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। #