কণ্ঠ ডেস্ক
প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ফলো অনে পড়ে যায় ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসে মার্শাল আইয়্যুবের সেঞ্চুরিতে ৩৭২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। তাতে করে জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৬ রান। ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ওয়ানডে স্টাইলের ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে খুলনা। দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট নিয়ে মেট্রোর ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের দিনই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মেট্রোর ব্যাটার মার্শাল। আগের দিন ১৩০ রানে অপরাজিত থাকা মার্শাল আজকে যোগ করেছেন আরও ২২ রান। তার সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে মেট্রো ৩৭২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। ২৪২ বলে ১৮ চার ও ১ ছক্কায় মার্শাল নিজের ইনিংসটি সাজান। ৪ উইকেটে ২৯৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা মেট্রো আজ আরও ৭৫ রান তুলতে পেরেছেন। মেট্রোকে দ্রুত সাজঘরে ফেরানোর দায়িত্বটা মূলত নেন শেখ মেহেদী হাসান। প্রথম ইনিংসে তার ঘূর্ণিতেই ফলোঅনে পড়ে মেট্রো। দ্বিতীয় ইনিংসেও মেহেদীর ঘূর্ণিজাদু অব্যাহত থেকেছে। এই ইনিংসে ৮৮ রানে তার শিকার ৫টি উইকেট। তাছাড়া আল আমিন হোসেন ও টিপু সুলতান নেন দুটি করে উইকেট। ২০৬ রানের লক্ষ্য পেয়ে খুলনা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে। বিশেষ করে এনামুল ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। দুই ওপেনার এনামুল ও অমিত মজুমদার ৯৪ রানের জুটি গড়েন। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন এনামুল। ৪৭ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় এনামুল ৭১ রানের ইনিংসটি সাজান। এরপর বাকি পথটা অমিত মজুমদার ও ইমরুল কায়েস মিলেই পাড়ি দিয়েছেন। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন ১১২ রানের জুটিতে খুলনা ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়। অমিত ৪১ ও ইমরুল ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।ঢাকা মেট্রোর হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক নাঈম শেখ তার ৯ বোলারকে ব্যবহার করেও সাফল্য পাননি। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও অমিত মজুমদারের জোড়া সেঞ্চুরিতে খুলনা বড় সংগ্রহ দাঁড় করায়। এনামুল ১২৫ এবং অমিত ১৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। জবাবে ঢাকা মেট্রো নিজেদের প্রথম ইনিংসে খুলনার দুই স্পিনার টিপু সুলতান ও শেখ মেহেদীর তোপে পড়ে। ২১০ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়ে তারা।