কণ্ঠ ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ করে নেতৃত্ব ছাড়বেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইতোমধ্যে নেতৃত্ব ছাড়তে বিসিবির কাছে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তবে এর কোনও কিছুই জানেন না বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম! শান্তর খারাপ সময়ে তার পাশে সকলকে থাকা উচিত ছিল মনে করেন তিনি। চট্টগ্রামে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্ট। এই টেস্টই হতে যাচ্ছে শান্তর নেতৃত্বে শেষ ম্যাচ। তার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফাহিম বলেছেন, ‘আমিও টিভি স্ক্রলে দেখেছি, আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি, অফিসিয়ালি সে নাকি ঘোষণা করেছে কোথাও না কোথাও। যদি হয়ে থাকে, অফিসিয়াল কোনও ডকুমেন্ট আমার কাছে আসেনি। আমি এখনও অফিসিয়ালি জানতে পারিনি যে, এটার সত্যতা কতটুকু। যদি হয়ে থাকে এটা আমাদের জন্য একটা বড় খবর।’তবে বিসিবি শান্তকে রেখে দিতে চাইছে। এ ব্যাপারে বোর্ডের বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন ফাহিম, ‘ক্রিকেট বোর্ডকে অনেক বড় বড় স্টেপ নিতে হবে নতুন অধিনায়ক যদি তৈরি করতে হয় অথবা তাকে বুঝিয়ে রাখা যায়। আমাদের বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এখন একটা ঘটনা জানা গেছে। এখন আমাদের বিচার-বিবেচনা করতে হবে আমাদের কী অবস্থা, কী সিদ্ধান্ত নেবো। এটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মহীন শান্ত। বিসিবি পরিচালক ফাহিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত চাপেই অধিনায়কত্ব করতে পারছেন না শান্ত, ‘তার (শান্ত) মতো একজন খেলোয়াড় আমাদেরই কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। আমাদের মতো দেশে অধিনায়ক হওয়া মানে সব সময় চাপে থাকতে হবে, ভালো পারফরম্যান্স হবে না, তাকে নিয়ে আমরা যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভালো না খেলার কারণও হয়তো সেটা।’ ফাহিম মনে করেন কঠিন সময়টাতে শান্তর পাশে থাকা জরুরি ছিল, ‘আমার মনে হয় খুব প্রয়োজন ছিল ওর পাশে থাকা, ওকে সমর্থন দেওয়া। এটা মনে রাখা, সে বাংলাদেশের মতো একটা দলের অধিনায়ক। এই দল খুব অধারাবাহিক। সে নিজেও একজন তরুণ খেলোয়াড়। ওর ব্যাপারে আরেকটু সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। আমরা যদি শান্তকে না রাখি অধিনায়ক হিসেবে কিংবা সে যদি না থাকতে চায়, কারও না কারও কাছে যেতে হবে আমাদের। তাকে (নতুন অধিনায়ক) তো সেই একই ব্যাপারটির মুখোমুখি হতে হবে।’ শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে ফাহিম আরও যোগ করেন, ‘এখানে শান্তর মতো তরুণ অধিনায়কের পাশে বিসিবির থাকা উচিত। এক দিনেই স্টিভ ওয়াহ, হঠাৎ করেই ইমরান খান-ধোনি হওয়া যায় না। আমাদের সংস্কৃতিতে অধিনায়কত্ব গড়ে ওঠে না। আমরা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে অনেক সময় বিনিয়োগ করেছি। কোনও সমস্যা হলে আলোচনা করে সমাধানের পথে হাঁটতে চায় বোর্ড।’