শরিফুুল ইসলাম
যশোরের তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মাঠে পানিতে পিলাবিত হওয়ায় মাঠে মাঠে জাতীয় ফুল শাপলা এক সুন্দর দেখাচ্ছে, তেমনি তরকারি হিসেবে এটি খেতেও বেশ সুস্বাধু। কেউ খায় শখ করে, আবার কেউ খায় অভাবে পড়ে। অভাবগ্রস্ত বা নিতান্ত গরিব মানুষ এ বর্ষা মৌসুমে জমি থেকে শাপলা তুলে তা দিয়ে ভাজি বা ভর্তা খেতে খুব মজা। যশোরের তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুরে শাপলা তরকারি বা ভাজি খেয়ে থাকেন। শাপলা বিক্রি করে এখন জীবিকা নির্বাহ করছে যশোরের তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর বিভিন্ন এলাকার নিম্ম আয়ের শত শত পরিবার। এমন চিত্র দেখা গেছে যশোর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শাপলা বিক্রি করতে।
যশোরের তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুরের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ও হাট-বাজারে আসলাম শেখ নামে এক ব্যক্তি ভ্যান গাড়ি করে শাপলা বিক্রি করছেন। শাপলা বিক্রি করে তিনি সংসার চালাচ্ছেন। যশোরের মনিরামপুরের ডুমুর বিল ও সম্বলডাঙ্গা বিল থেকে প্রতিদিন ভোর রাতে শাপলা তুলে যশোরের তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন।
মনিরামপুর উপজেলার গ্রামের বাসিন্দা শাপলা বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ মোঠা (১০ পিস শাপলায় ১ মোঠা ধরা হয়) সংগ্রহ করতে পারি। এক মোঠা শাপলা ১০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দৈনিক ৫ শ থেকে ৬ টাকা বিক্রি করে থাকি। শাপলা বিক্রি করে আমি সংসার চালাচ্ছি। তিনি আরো জানান, এই বর্ষার পানিতে আমাদের সমস্ত ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষ খুব কষ্টে আছি। ভবদহের সমস্যা সমাধান না হলে আমাদের এই দুঃখ দুর্দশার শেষ হবে না।