জাহিদুল ইসলাম জাহিদ
যশোরের শার্শায় বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করে আনা ডিমের চালান ৫ শতাংশ শুল্কে খালাস দেওয়া শুরু হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কম শুল্কে ডিমের চালান খালাস দেওয়া শুরু করে। আগে ২৫ শতাংশ শুল্কে খালাস দেওয়া হতো।চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ শতাংশ শুল্কের এই সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। এই শুল্কে প্রতিটি ডিম পাইকারি বাজারে ৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিমের একটি চালান কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন। আগে প্রতিটি ডিমে ১ টাকা ৮৩ পয়সা শুল্ক দিতে হতো। এখন থেকে প্রতিটি ডিমে মাত্র ৭৬ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা নতুন চালানের প্রতিটি ডিম ৯ টাকায় পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে হবে। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে হাইড্রোল্যান্ড সলিউশনের ডিমের চালান। কম শুল্কে (৫ শতাংশে) ডিমের চালানটি ছাড় করতে দুদিন সময় বেশি লেগেছে আমদানিকারকের। ডিমের এই চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।বাজার দর নিয়ন্ত্রণে এবং সরবরাহ বাড়াতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) শুল্ক কমানোর একটি আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রবিবার এই নির্দেশ আসে বেনাপোল কাস্টমসে।এদিকে, ডিম আমদানি বাড়লেও বাজারে কোনও প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে না। এখনও ৬০ টাকা দরে প্রতি হালি ডিম কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশনের স্বত্বাধিকারীর প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজীব বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত কম শুল্কে বন্দর থেকে ডিম খালাস নিতে দুই দিন বেশি সময় লেগেছে। আজ পণ্য চালানটি ৫ শতাংশ শুল্কে খালাস নিয়েছি। এখন দাম আগের চেয়ে কমবে। প্রতিটি ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।’বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির জানান, দুই দিন পর বন্দর থেকে আমদানিকারক ডিমের চালান খালাস নিয়েছেন। আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। নির্ধারিত ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে চালান খালাস দেওয়া হয়েছে।কাস্টম হাউজ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ১০ লাখ ডিম আমদানি হয়েছে। মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও সব প্রতিষ্ঠান এখনও আমদানি করেনি।