আব্দুস সাত্তার কিনে
যশোর জেলায় সবজী বিখ্যাত বলে পরিচিত থাকলেও বাজারে অনেক কম সবজি উঠতে দেখা যাচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায় যে, যশোর সদর উপজেলার মধ্যে চূড়ামনকাটি, দৌলতদিহি, আব্দুলপুর, পুলতাডাঙ্গা, নিশ্চিন্তপুর, সাবাজপুর, এনায়েতপুর, তীরেরহাট, বালিয়াঘাটসহ এই এলাকায় অনেক সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু এই বর্ষা হওয়ার কারণে সবজির বীজতলা একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষকরা আগের তুলনায় সবজি উৎপাদন করতে পারছেন না। যার কারণে বাজারে সবজীর স্বল্পত হয়ে পড়েছে এবং দামও অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কয়েকজন কৃষক জানান, দুই-তিনদিন পূর্বে তাদের ক্ষেতে মুলার বীজ রোপন করা হয়। গতকাল বৃষ্টিরকারণে ক্ষেতের পানি জমে থাকায় একেবারে বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এই বীজ রোপন করতে কৃষকের অনেক টাকা খরচ হয়েছিল। এখন তাদের এই ঘাটতি পোষাবে কিভাবে, কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাজারে দেখা যায় যে, সবজী মধ্যে কিছু আগতি মূলা, কপি, বেগুন, পটল, করলা এই সবজী বাজারে উঠলেও দাম অনেক বেশি। এই দামে অনেক লোক ক্রয় করতে পারছেন না। খোজ নিয়ে জানা যায় যে, বাজারে নিয়মিত সবজী উঠতে গেছে এখনো দুই মাস সময় লাগবে। তখন সবজীর দাম কমতে পারে বলে আশা হচ্ছে। বর্তমান বাজারে সবচেয়ে কম টাকা সবজী পেপে ও পুইশাক। সেটাও ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রয় হচ্ছে। কৃষকের ক্ষেতে সবজী উৎপাদন না হওয়ার কারণে ও অতি বৃষ্টি হওয়াতে এ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।