কণ্ঠ ডেস্ক
ডেনমার্ক গোলরক্ষক কেসপার স্মেইচেল পুরো ম্যাচজুড়ে অসাধারণ সব সেভ করেছেন। স্পেনের মুহুর্মুহু আক্রমণের মুখে অটল পাহাড়ের মত দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে এসে একটি ভুল করে বসলেন এবং মিডফিল্ডার মার্টিন জুবিমেন্ডির শট ঠেকাতে পারলেন না। গোল হজম করে বসলেন। এই জয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে ৩ ম্যাচের মধ্যে ২ জয় এবং একটি ড্র’য়ের ফলে গ্রুপ এ-৪ এ ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলো স্পেন। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলো ডেনমার্ক। ইনজুরির কারণে পুরোপুরি বিধ্বস্ত স্পেন। নিয়মিত একাদশের ৭জন ফুটবলারকেই পাননি কোট লুইস ডি লা ফুয়েন্তে। তবুও দারুণ প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে স্পেন। ডেনমার্কের জালে একের পর এক আক্রমণ জাসিয়ে গেলেন। কিন্তু গোল পেতে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হয় ৭৯ মিনিট পর্যন্ত। ৭৯তম মিনিটে এসে স্পেনের জার্সিতে নিজের প্রথম গোল করলেন জুবিমেন্ডি। রিয়াল সোসিয়েদাদের এই মিডফিল্ডার প্রথমবারের মতই শট নিয়েছিলেন ডেনমার্কের জালে। বক্সের একেবারে সামনে থেকে নেয়ার তার এই শটটি একজন ডিফেন্ডার চেষ্টা করেছিলেন থামানোর। কিন্তু তাকে ফাঁকি দিয়ে গোলরক্ষক স্মেইসেলকেও ফাঁকি দেন। যদিও গোলরক্ষকের অনায়াসেই বলটি ধরতে পারার কথা ছিল। এমন সহজ সুযোগ মিস করায়, লজ্জায় লাল হতে হলো সেল্টিকের এই গোলরক্ষককে। গোল করে জেতালেন, ফলে ম্যাচ শেষে খুশিই দেখা গেলো তাকে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি। বিশেষ করে খুবই কঠিন এক সময়ে, যখন আমরা কোনো গোলের দেখা পাচ্ছিলাম না। সেখান থেকে গোল করতে পেরেছি। এটা তো আমার জন্য খুশির বিষয়ই।’