কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে রাতে বাড়ী ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হামলায় ইঞ্জিন মিস্ত্রি তারেক মালিথা (২৮) সহ ৫জনকে পিটিয়ে জখম ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময়ে একজন পালিয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদের রক্ষা করে। ওই রাতেই আহতদের কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে গুরুতর জখম গৌতম কুমারকে প্রথমে যশোর ও পরে খুলনাতে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী তরেক মালিথা ৫ অক্টোবর ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১/১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কালীগঞ্জ থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য ২ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দুল্লালমুন্দিয়া সড়কে ওই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে।ভুক্তভোগী ইঞ্জিন মিস্ত্রী উপজেলার মেকুরখির্দ্দা গ্রামের তারেক মালিথা তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, শহরের আয়েশা তেলাপাম্প এলাকায় মায়ের দোয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। ২ অক্টোবর কাজ শেষে রাত দেড়টার দিকে মটরসাইকেলে বাড়ীতে ফিরছিল। পথে দুলাল মুন্দিয়া সড়কে বড় পুকুর নামক স্থানে পৌছালে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের ফরিদ, জসীম মন্ডল, জালাল, মফিজ জোয়ারদ্দার, কামাল হোসেন, আরিফ হোসেন, সাগর হোসেন ও মোশারেফ সহ ১০/১২ জন ব্যাক্তি তার পথরোধ করে। এ সময় তাকে মারপিট করে মটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপরও ছিনতাইকারীরা তাকে আটকে রেখে স্বজনদের ফোন দিয়ে আসতে বলে। এ সময় তারেক মালিথার ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক শহর থেকে তার প্রতিষ্ঠানের নাইটগার্ড লিমন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, গৌতম কুমার ও সাইফুল্লাহ ঘটনাস্থলে আসে। ছিনতাইকারীরা তাদেরকেও লাঠিসোঠা দিয়ে মারপিট শুরু করে। এদের মধ্যে থেকে একজন পালিয়ে গেলেও গৌতমকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম ও সবারই নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের থেকে পালিয়ে যাওয়া একজন ৯৯৯ এ ফোন দিলে কিছু সময়ের মধ্যেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন জানান, ওই ঘটনায় থানাতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।